ভিকারুননিসার ১১ হাজার ছাত্রী ঝুঁকিতে
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ভবনে বিভিন্ন
শ্রেণীকক্ষের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বারান্দার দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ
বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে
পরিদর্শনও করা হয়েছে
। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে এখনো ক্লাস করছে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী।
রাজধানীর বেইলি রোডে মেয়েদের জন্য ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মূল ভবন ১৯৫২ সালে নির্মিত। এটি এখন মূল প্রভাতি জুনিয়র শাখার শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এ ভবনের বারান্দার দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়ায় ৩ মে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠান ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা বেগম। গণপূর্ত অধিফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে লেখা চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে সরেজমিন তদারক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং অন্য সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও শ্রেণীকক্ষের সংকট থাকায় এ ভবনগুলোয় ক্লাস চালাতে হচ্ছে। ফলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভবনগুলো নির্মিত হওয়ার কয়েক যুগ অতিবাহিত হলেও আর্থিক সংকটের কারণে এর অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন সাধিত হয়নি। বিগত দিনে জগন্নাথ হল দুর্ঘটনা ও বর্তমান সময়ে সাভারে রানা প্লাজা ধসে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।’
এসব বিষয়ে মঞ্জুয়ারা বেগম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিদর্শন ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।’
এদিকে
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সপ্তম শ্রেণীর
শিক্ষার্থী ঝর্না বেগম বলে, ‘আমার ক্লাসের বিভিন্ন জায়গার পলেস্তারা খসে
পড়েছে। ক্লাস করার সময় আতঙ্কে থাকি।’ নবম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা রহমান
বলেন, ‘ভবনধসের ঘটনা শোনার পর আমাদের ক্লাস করতে ভয় লাগছে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে অভিভাবকদের উত্কণ্ঠা বাড়তেই থাকবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
source: হ্যালো-টুডে
। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে এখনো ক্লাস করছে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী।
রাজধানীর বেইলি রোডে মেয়েদের জন্য ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মূল ভবন ১৯৫২ সালে নির্মিত। এটি এখন মূল প্রভাতি জুনিয়র শাখার শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এ ভবনের বারান্দার দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়ায় ৩ মে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠান ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা বেগম। গণপূর্ত অধিফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে লেখা চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে সরেজমিন তদারক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং অন্য সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও শ্রেণীকক্ষের সংকট থাকায় এ ভবনগুলোয় ক্লাস চালাতে হচ্ছে। ফলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভবনগুলো নির্মিত হওয়ার কয়েক যুগ অতিবাহিত হলেও আর্থিক সংকটের কারণে এর অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন সাধিত হয়নি। বিগত দিনে জগন্নাথ হল দুর্ঘটনা ও বর্তমান সময়ে সাভারে রানা প্লাজা ধসে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।’
এসব বিষয়ে মঞ্জুয়ারা বেগম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিদর্শন ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে অভিভাবকদের উত্কণ্ঠা বাড়তেই থাকবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
source: হ্যালো-টুডে