পান্নার তার শিক্ষকতা জীবনে শতাধিক ছাত্রী সহ ১৩০-১৪০ জনের সঙ্গে সেক্স করেছে!
শতাধিক ছাত্রী-গৃহবধূকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হেলাল উদ্দিন পান্নার পরিচিতি
এখন পরিমলকে ছাড়িয়ে রাসপুটিন হতে চলেছে। কারণ গণিতের শিক্ষক পান্না
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষক পরিমল জয়ধর স্টাইলে সেক্স করে গোপন
ক্যামেরায় ভিডিও করলেও তার শিকারের তালিকায় আছে ছাত্রী থেকে কলগার্ল
পর্যন্ত (ছাত্রী-গৃহবধূ-কলগার্ল)। কুষ্টিয়া শহরতলীর আদর্শ মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের গণিতের এ শিক্ষক পরে এসব ছাত্রীকে ব্ল্যাক মেইল করে আরও অনেককে
ফাঁদে ফেলেছে। এমনকি কিছু ছাত্রীর স্বামীর আত্মীয় স্বজনকে পর্যন্ত ফাঁদে
ফেলেছে। এ কারণেই পরিমলকে ছাড়িয়ে রাসপুটিন (সম্মোহনী প্রভাবের অধিকারী
রাশিয়ার আধ্যাত্মিক গুরু) হতে চলেছে পান্না। সে কিছু সম্মানীয় ব্যক্তি,
রাজনৈতিক প্রভাবশালীকে ছাত্রী, ছাত্রীর শ্বশুরকুলের আত্মীয় বা কলগার্লের
সঙ্গে তার ডেরায় সেক্স করিয়ে ভিডিও করেছে। যাতে বিপদে কাজে লাগে। আর
এখানেই পান্নার সঙ্গে পরিমলের পার্থক্য। পরিমল জেল খাটলেও পান্না পার পেয়ে
যাচ্ছে। কারণ গত শুক্রবার ব্যাপারটি টের পেয়ে জনগণ তাকে গণধোলাই দিতে
শুরু করলে স্থানীয় বারখাদা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সহ
প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালী
নেতা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। আর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলার
সাধারণ মানুষের মধ্যে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করলেও অভিযোগ দিতে
এগিয়ে আসছেন না অভিভাবকরা। কারণ টাউট রাজনীতিবিদ আর মান-সম্মানের ভয়ে
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা বা স্কুল কমিটির কাছে অভিযোগ দিতে ইচ্ছুক নন।
পান্নার কাছের একটি সূত্রের দাবি, এই সুযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক পান্না স্কুল
কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, পান্না তার
শিক্ষকতা জীবনে ১৩০-১৪০ জনের সঙ্গে সেক্স করেছে। শতাধিক ভিডিও করেছে।
বন্ধুদের ভিডিওগুলো তাদের ব্ল্যাকমেইল বা নিজের নিরাপত্তার কাজে লাগিয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পান্নার একাধিক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধারণ করা সেক্স ভিডিও ও ছবি তার ঘনিষ্ঠজনেরাই ফাঁস করে দিয়েছে। পরে একই স্কুলের পরিচালনা কমিটির এক অভিভাবক সদস্য এগুলো হস্তগত করেন। এসব সেক্স ভিডিও’র খবরে এক ছাত্রীর ফুপাতো ভাই স্কুলশিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেয়।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না’র আড়াই ঘণ্টার ৬টি নগ্ন ভিডিও চিত্রের কপি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভের মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা অফিসে। এটা করেছে একই স্কুলের এক অভিভাবক সদস্য।
এব্যাপারে বারখাদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষক পান্নার সেক্স ভিডিও ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন বিদ্যা উৎসাহী সদস্য ওবায়দুর রহমান, অভিভাবক সদস্য আবু তালেব ও শিক্ষক আবু তৈয়ব। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তের পর তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার সায়েদুর রহমান জানান, গত সোমবার দুপুরে ব্যাপারটি শুনে আমি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষককে বলেছি আমাকে জানাননি কেন? উনি বলেছেন, স্কুল কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তদন্ত কমিটি করে আপনাকে লিখিত জানানো হবে। তিনি আরও জানান, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) এক অভিভাবক সদস্য এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, উনি ভিডিও দেখেছেন কিন্তু উনার কাছে সেটা নাই। শিক্ষা অফিসার আরও বলেন, ভিডিও প্রমাণ বা অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ না দিলে শিক্ষক পান্নাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া কঠিন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাটশ হরিপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিনের (কাঠমিস্ত্রি) পুত্র হেলাল উদ্দিন পান্না। সে কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করতো। সূত্র আরও জানায়, নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হতো। এমনকি বিয়ের পরও তার লালসা থেকে রেহাই পায়নি কয়েক ছাত্রী। এসব ছাত্রীর মাধ্যমে কয়েক জনের স্বামীর আত্মীয়কেও সে ফাঁদে ফেলেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। পান্নার গ্রামবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী এলাকায় একাধিক অপকর্মের কারণে কয়েক বছর আগে তাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করে এলাকাবাসী। দু’-তিন বছর পরে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আবারও সে গ্রামে ফিরে আসে। এদিকে, গতকাল মানবজমিনে ‘কুষ্টিয়ায় আরেক পরিমল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। প্রিন্ট কপি না পেয়ে ফটোকপির দোকানগুলোতে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পান্নার একাধিক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধারণ করা সেক্স ভিডিও ও ছবি তার ঘনিষ্ঠজনেরাই ফাঁস করে দিয়েছে। পরে একই স্কুলের পরিচালনা কমিটির এক অভিভাবক সদস্য এগুলো হস্তগত করেন। এসব সেক্স ভিডিও’র খবরে এক ছাত্রীর ফুপাতো ভাই স্কুলশিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেয়।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না’র আড়াই ঘণ্টার ৬টি নগ্ন ভিডিও চিত্রের কপি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভের মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা অফিসে। এটা করেছে একই স্কুলের এক অভিভাবক সদস্য।
এব্যাপারে বারখাদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষক পান্নার সেক্স ভিডিও ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন বিদ্যা উৎসাহী সদস্য ওবায়দুর রহমান, অভিভাবক সদস্য আবু তালেব ও শিক্ষক আবু তৈয়ব। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তের পর তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার সায়েদুর রহমান জানান, গত সোমবার দুপুরে ব্যাপারটি শুনে আমি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষককে বলেছি আমাকে জানাননি কেন? উনি বলেছেন, স্কুল কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তদন্ত কমিটি করে আপনাকে লিখিত জানানো হবে। তিনি আরও জানান, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) এক অভিভাবক সদস্য এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, উনি ভিডিও দেখেছেন কিন্তু উনার কাছে সেটা নাই। শিক্ষা অফিসার আরও বলেন, ভিডিও প্রমাণ বা অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ না দিলে শিক্ষক পান্নাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া কঠিন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাটশ হরিপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিনের (কাঠমিস্ত্রি) পুত্র হেলাল উদ্দিন পান্না। সে কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করতো। সূত্র আরও জানায়, নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হতো। এমনকি বিয়ের পরও তার লালসা থেকে রেহাই পায়নি কয়েক ছাত্রী। এসব ছাত্রীর মাধ্যমে কয়েক জনের স্বামীর আত্মীয়কেও সে ফাঁদে ফেলেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। পান্নার গ্রামবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী এলাকায় একাধিক অপকর্মের কারণে কয়েক বছর আগে তাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করে এলাকাবাসী। দু’-তিন বছর পরে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আবারও সে গ্রামে ফিরে আসে। এদিকে, গতকাল মানবজমিনে ‘কুষ্টিয়ায় আরেক পরিমল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। প্রিন্ট কপি না পেয়ে ফটোকপির দোকানগুলোতে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ।