==> রাতভর আটকে রেখে পুলিশ ধর্ষণ করেছে এক মহিলাকে
মাদারীপুরে রাতভর আটকে রেখে পুলিশ ধর্ষণ করেছে এক মহিলাকে। তাকে গ্রেপ্তার
করে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ নিয়ে ওই মহিলা আদালতে মামলা করেছেন। সোমবার
মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলাটি করেন ওই মহিলা।
মামলায় মাদারীপুর ১ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার চুন্নু মোল্লা (৪০) ও
মাদারীপুর সদর থানার ক্যাশিয়ার এমরাত হোসেন (৪৫)-কে আসামি করা হয়েছে। পেশায়
যৌনকর্মী ওই মহিলা মামলায় বলেছেন, মাদারীপুর
১নং পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার চুন্নু মোল্লা (৪০) ও মাদারীপুর সদর থানার
ক্যাশিয়ার এমরাত হোসেন (৪৫) বিভিন্ন সময় আমাকে ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি দিয়ে ৩
লাখ টাকা হাতিয়ে
নেয়। সমপ্রতি আরও টাকা দাবি করায় আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে একটি পেন্ডিং মামলায় ১৫ই সেপ্টম্বর রাত ৯টার দিকে আমাকে গ্রেপ্তার করে ১নং পুলিশ ফাঁড়ি বা মাদারীপুর থানায় না নিয়ে ফাঁড়ি সংলগ্ন চুন্নু হাবিলদারের বাসভবনে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মামলার নথি সূত্রে আরও জানা যায়, আসামিরা এ সময় ওই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে ছেঁকা দেয়। পরে ভোররাতে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারসংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে। সকালে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত ওই নারী ঘটনার বর্ণনা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। এ সময় তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা নেয়নি। পরে কোর্টে মামলা করেছি। বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ রিন্টু জানান, দুই পুলিশ সদস্য বিভিন্ন সময়ে চাঁদা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছে। সমপ্রতি আরও টাকা দাবি করে। ‘কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৫ই সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরান বাজার এলাকা থেকে আগের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।’ আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেলকে পুলিশ আটকের কথা বলে থানায় বা ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়নি। হাবিলদার চুন্নুর বাসায় নিয়ে আমার মক্কেলের হাত-পা-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় জলন্ত সিগারেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছেঁকাও দেয়া হয়।’ নির্যাতিত ওই মহিলা সাংবাদিকদের জানান, মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য দুই পুলিশ সদস্য নানাভাবে তাকে হুমকি দিচ্ছে। মাদারীপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ রাসেল জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নেয়। সমপ্রতি আরও টাকা দাবি করায় আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে একটি পেন্ডিং মামলায় ১৫ই সেপ্টম্বর রাত ৯টার দিকে আমাকে গ্রেপ্তার করে ১নং পুলিশ ফাঁড়ি বা মাদারীপুর থানায় না নিয়ে ফাঁড়ি সংলগ্ন চুন্নু হাবিলদারের বাসভবনে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মামলার নথি সূত্রে আরও জানা যায়, আসামিরা এ সময় ওই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে ছেঁকা দেয়। পরে ভোররাতে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারসংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে। সকালে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত ওই নারী ঘটনার বর্ণনা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। এ সময় তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা নেয়নি। পরে কোর্টে মামলা করেছি। বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ রিন্টু জানান, দুই পুলিশ সদস্য বিভিন্ন সময়ে চাঁদা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছে। সমপ্রতি আরও টাকা দাবি করে। ‘কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৫ই সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরান বাজার এলাকা থেকে আগের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।’ আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেলকে পুলিশ আটকের কথা বলে থানায় বা ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়নি। হাবিলদার চুন্নুর বাসায় নিয়ে আমার মক্কেলের হাত-পা-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় জলন্ত সিগারেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছেঁকাও দেয়া হয়।’ নির্যাতিত ওই মহিলা সাংবাদিকদের জানান, মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য দুই পুলিশ সদস্য নানাভাবে তাকে হুমকি দিচ্ছে। মাদারীপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ রাসেল জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।