স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ‘বিক্রি’?

এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর অর্থের বিনিময়ে এক যৌনকর্মীর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের করণিক মোশারফ হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে দুই নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই স্কুলছাত্রী সাংবাদিকদের জানায়, দুই মাস তাকে আটকে রেখে অনৈতিক কাজ (যৌনকর্মীর কাজ)
করতে বাধ্য করা হয়েছে।
পুলিশ এবং ওই ছাত্রীর পরিবার জানায়, দৌলতপুর উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন ঘিওর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করণিক হিসেবে কাজ করেন। মাঝেমধ্যে তিনি বিদ্যালয়ে ক্লাসও নেন। মোশারফ শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। এ সুযোগে তিনি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গত ২১ জুন প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে মোশারফ ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ডেকে আনেন। এরপর বেড়ানোর কথা বলে ঢাকার সাভারে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সাত দিন রেখে মোশারফসহ একাধিক ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। গত ২৮ জুন তিনি মেয়েটিকে সাভারের ব্যাংক কলোনিতে এক নারীর কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর একটি বাসায় মেয়েটিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার মেয়েটি পালিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসে। তারপর সে বিষয়টি স্বজনদের জানালে তাঁরা সেদিনই বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ সেদিন কুমুরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে মোশারফকে গ্রেপ্তার করে। পরে সাভারের ব্যাংক কলোনির একটি বাসা থেকে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলে, ‘ঘটনার প্রায় ছয় মাস আগে মোশারফ স্যার আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে আমি রাজিও হই। কিন্তু তিনি আমার জীবন এভাবে শেষ করে দেবেন, তা কখনো চিন্তাও করতে পারিনি।’
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা সিঙ্গাইর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে গতকাল আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

,
Powered by Blogger.