চবি’র ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ভারতীয় চলচ্চিত্র ও ক্রিকেটারদের ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে আবেদনকারীর জায়গায় ভারতীয় চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট তারকাদের ছবি আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কারিগরি ত্রুটির সুযোগ নিয়ে ‘অন্যরাই’ এ সব ছবি আপলোড করেছে। আর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্রের প্রিন্ট নিতে
গিয়ে দেখতে পাচ্ছেন নিজের নামের পাশে শাহরুখ খান বা ক্যাটরিনা কাইফের মতো বলিউড তারকা বা সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারের ছবি।
নতুন করে ছবি আপলোড বা সংশোধনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে ওই ছবি সম্বলিত প্রবেশপত্রেই তাদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষার্থীদের সাথে করে দুই কপি পাসপোর্ট আকৃতির ছবি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি ইউনিটের প্রতিটিতেই অসংখ্য শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে ভারতীয় নায়ক-নায়িকা ও খেলোয়াড়দের ছবি আপলোড করা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের নিয়মে বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.cu.ac.bd- এ প্রবেশ করে নির্দিষ্ট পেইজে গিয়ে এইচএসসির বোর্ড, রোল, পাসের সাল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে হবে। তথ্য সঠিক হলে গোপন নম্বর (পিন) দেয়া হবে এবং তা দিয়ে পরীক্ষার্থী ছবি আপলোড করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
কিন্তু প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখা যায় ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ও ইউনিট কোড ছাড়া আর কোনো তথ্যই লাগছে না। এক্ষেত্রে কোনো গোপন নম্বরেরও বালাই নেই।
ফলে যে কেউ অনুমাননির্ভর রোল নম্বরের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ছবি আপলোড করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন। আর ছবি একবার আপলোড হয়ে গেলে তা পরিবর্তনেরও কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
এ সমস্যার কথা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভর্তি কমিটির সচিব এস এম আকরাম হোসেন বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভুল ছবি সংবলিত প্রবেশপত্রের মাধ্যমেই আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীকে দুই কপি ছবি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড সাথে আনতে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে প্রবেশপত্রে ছবি বিভ্রাটে ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘এমনিতেই প্রতি বছর প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের ঝামেলা থাকে। এ বছর ছবি নিয়ে জটিলতার কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’ এ জন্য প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের গাফিলতিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ সমস্যা হতো না।’
সূত্র: বিডিনিউজ

Powered by Blogger.