রেশমার গ্রামের চিত্র বদলে গেছে

সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ থেকে ১৭ দিন পর উদ্ধার হওয়া রেশমার গ্রামের বাড়ির চিত্র পাল্টে গেছে। নিজের চোখে রেশমাকে দেখার জন্য দিনাজপুরের মানুষ এসে ভিড় করছে তার বাড়িতে। রেশমাও গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে উঠছে। গ্রামের বাড়ি থেকে রেশমার
মা জোবেদা খাতুন একথা জানান। প্রতিদিন রেশমার বাড়িতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুঁটে আসছে অসংখ্য মানুষ। পাল্টে গেছে রেশমার বাড়ি ও আশ-পাশের চিত্র। রেশমার বাড়ির সামনের মহা-সড়কের ধারে স্থান পেয়েছে তার ছবি সম্মিলিত বিশাল সাইন বোর্ড। বাড়িতে এখন স্বাস্থ্য-সম্মত সেনিটারি পায়খানা বসানো হয়েছে। অনেকে এখন সাহায্য-সহযোগিতা করছে রেশমার পরিবারকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রামের বাড়ির পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা রেশমাকে দেখতে চাইছে। এদিকে রেশমার ফেলে আসা জীবনের অনেক অজানা কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নং সিংড়া ইউনিয়নের কোশিগাড়ী গ্রামের কৃষক মৃত আনসার আলী ও গৃহিনী জোবেদা খাতুনের ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রেশমা (২০)। ছোট কালে পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে মাত্র ৫ বছর বয়সে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবন যুদ্ধ শুরু রেশমার। পরে সাবালক হতে না হতে তার বিয়ে হয়। রানা প্লাজা বিপর্যয়ের ৪ মাস আগে তার জীবনে ঘটে গেছে আরেক বিপর্যয়। স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের অমানুষিক নির্যাতনে সে বাধ্য হয়ে নিজেই স্বামীকে তালাক দিয়েছে।

,
Powered by Blogger.