মাকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিতে হলো ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র লোকমান হোসেনকে

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধ্য রামভদ্রপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন চাচা-চাচির হামলা থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিতে হলো ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র লোকমান হোসেনকে (১২)। এই ঘটনায় ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ রাশিদা বেগম নামে একজনকে আটক
করেছে।ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্য রামভদ্রপুর গ্রামের মিন্টু হাওলাদার, তার স্ত্রী রাশিদা বেগম, বোন আলেয়া বেগম ও ভাগিনা আবুল বাশার মিলে মিন্টুর ছোট ভাই কালু হাওলাদারের স্ত্রী পারভিন বেগম (৩৫) এর উপর চড়াও হয়। হামলা থেকে মাকে রক্ষা করতে এলে চাচা মিন্টু হাওলাদারের লাঠির বাড়িতে লোকমান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় লোকমানকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সারা রাত সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে উন্নত চিকিত্সার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিত্সকরা তাকে পর্যাপ্ত চিকিত্সা দিতে না পারায় দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালে গতকাল দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে শরীয়তপুর হাসপাতালে এক হূদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। লোকমানের মা পারভিন ও বাবা কালু হাওলাদারের আর্তনাদে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। লোকমান রামভদ্রপুর রেবতী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, শিশুটি মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় চিকিত্সা দেয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে ছিল। তাই আমরা তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই। ভেদরগঞ্জ থানার এসআই হায়দার হোসেন বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাশিদা বেগম নামে একজনকে আটক করে। এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি।

Powered by Blogger.