যশোরে ঘরের ছাদে ধান চাষ
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী তার ঘরের ছাদের ওপর ধান চাষ করে আশপাশের
লোকজনকে অবাক করে দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী
এলাকার মানুষ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ছুটছেন তার বাড়িতে। দেখছেন কিভাবে
ছাদের ওপর ধান চাষ করা হয়েছে
। চলতি বোরো মওসুমে প্রায় দুই শতাংশ ছাদের ওপর তিনি ধান চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন দেড় থেকে দুই মণ ধানের ফলন পাবেন। রফিকুল ইসলামের বাড়ি যশোর শহরের বকচরের বিহারী ক্যাম্প এলাকায়। সেখানে তার একটি দ্বিতলা ভবন রয়েছে। ভবনটির নিচ তলায় একটি প্লাস্টিক কারখানা। আর দ্বিতলায় তিনি থাকেন। তিনি জানান, কয়েক বছর আগে তিনি ছাদের ওপর পেয়ারা, লিচু এবং আমের চারা রোপণ করেন। সে চারাগুলোর প্রাপ্ত বয়স হলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু গাছগুলোর বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় ফলন কম হচ্ছিল। এ কারণে রফিকুল ইসলাম ওই গাছগুলো কেটে ফেলে চলতি বোরো মওসুমে বিআর-২৮ জাতের ধানের চারা রোপণ করেন। এখন সে ধান কাটার মতো হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তিনি ছাদের ওপর লাগানো ধান কাটবেন। ওই বাড়ির ছাদে অবস্থিত ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, ছাদের চার পাশে দুই হাত ফাঁকা রেখে ইটের গাঁথুনি দিয়ে রেলিং তৈরি করা হয়েছে। আর রেলিংয়ের মাঝে দেয়া হয়েছে মাটি। যদিও মাটি দেয়ার আগে ছাদের ওপর দেয়া হয়েছে পলিথিন এবং তার ওপর দুই ইঞ্চি ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই। যেন মাটির কারণে ছাদের কোন ক্ষতি না হয়। এরপর রোপণ করা হয়েছে ধানের চারা। আর সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বাসা-বাড়ির সবজির বর্জ্য। রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই তার বাসায় রান্নার তরিতরকারির কিছু অংশ ফেলে দিতে হয়। সেগুলো তিনি বাইরে না ফেলে একটি গর্তে জমা করেন। পরে সেটা সার হয়। এরপর ওই সার তিনি ছাদের ধানক্ষেতে ব্যবহার করেন। আর ছাদের ওপরে থাকা পানির ট্যাংকির বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্র দিয়ে পানি উত্তোলন করে তিনি বাসা ও কারখানায় ব্যবহার করেন। পাশাপাশি ওই সেচযন্ত্র দিয়ে তিনি ধান গাছে পানি দিয়েছেন। এ কারণে পানির কোন অপচয় হয়নি। তিনি আরও বলেন, নিজের সৌখিনতার বসে বাড়ির ছাদে ধান চাষ করায় প্রথম দিকে বিভিন্ন লোকজন রহস্য মনে করলেও, ধানের ফলন দেখে সবাই খুশি। তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা আছে আগামী বোরো মওসুমে একই বাড়ির ছাদে বাসমতি ধানের চাষ করবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক হেমায়েত উদ্দীন বলেন, ধান যেহেতু মাটিতে হয়। তেমনি ওই বাড়ির ছাদে অনেক মাটি দিয়ে তার ওপর ধান চাষ করা হয়েছে এবং মাঠে ধান চাষের ন্যায় পরিচর্যাও করা হয়েছে ফলে আবাদ ভাল হওয়ার কথা। কৃষি কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দীন আরও বলেন, এভাবে ধান চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব কিন্তু লাভবান হওয়া যায় না।
। চলতি বোরো মওসুমে প্রায় দুই শতাংশ ছাদের ওপর তিনি ধান চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন দেড় থেকে দুই মণ ধানের ফলন পাবেন। রফিকুল ইসলামের বাড়ি যশোর শহরের বকচরের বিহারী ক্যাম্প এলাকায়। সেখানে তার একটি দ্বিতলা ভবন রয়েছে। ভবনটির নিচ তলায় একটি প্লাস্টিক কারখানা। আর দ্বিতলায় তিনি থাকেন। তিনি জানান, কয়েক বছর আগে তিনি ছাদের ওপর পেয়ারা, লিচু এবং আমের চারা রোপণ করেন। সে চারাগুলোর প্রাপ্ত বয়স হলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু গাছগুলোর বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় ফলন কম হচ্ছিল। এ কারণে রফিকুল ইসলাম ওই গাছগুলো কেটে ফেলে চলতি বোরো মওসুমে বিআর-২৮ জাতের ধানের চারা রোপণ করেন। এখন সে ধান কাটার মতো হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তিনি ছাদের ওপর লাগানো ধান কাটবেন। ওই বাড়ির ছাদে অবস্থিত ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, ছাদের চার পাশে দুই হাত ফাঁকা রেখে ইটের গাঁথুনি দিয়ে রেলিং তৈরি করা হয়েছে। আর রেলিংয়ের মাঝে দেয়া হয়েছে মাটি। যদিও মাটি দেয়ার আগে ছাদের ওপর দেয়া হয়েছে পলিথিন এবং তার ওপর দুই ইঞ্চি ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই। যেন মাটির কারণে ছাদের কোন ক্ষতি না হয়। এরপর রোপণ করা হয়েছে ধানের চারা। আর সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বাসা-বাড়ির সবজির বর্জ্য। রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই তার বাসায় রান্নার তরিতরকারির কিছু অংশ ফেলে দিতে হয়। সেগুলো তিনি বাইরে না ফেলে একটি গর্তে জমা করেন। পরে সেটা সার হয়। এরপর ওই সার তিনি ছাদের ধানক্ষেতে ব্যবহার করেন। আর ছাদের ওপরে থাকা পানির ট্যাংকির বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্র দিয়ে পানি উত্তোলন করে তিনি বাসা ও কারখানায় ব্যবহার করেন। পাশাপাশি ওই সেচযন্ত্র দিয়ে তিনি ধান গাছে পানি দিয়েছেন। এ কারণে পানির কোন অপচয় হয়নি। তিনি আরও বলেন, নিজের সৌখিনতার বসে বাড়ির ছাদে ধান চাষ করায় প্রথম দিকে বিভিন্ন লোকজন রহস্য মনে করলেও, ধানের ফলন দেখে সবাই খুশি। তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা আছে আগামী বোরো মওসুমে একই বাড়ির ছাদে বাসমতি ধানের চাষ করবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক হেমায়েত উদ্দীন বলেন, ধান যেহেতু মাটিতে হয়। তেমনি ওই বাড়ির ছাদে অনেক মাটি দিয়ে তার ওপর ধান চাষ করা হয়েছে এবং মাঠে ধান চাষের ন্যায় পরিচর্যাও করা হয়েছে ফলে আবাদ ভাল হওয়ার কথা। কৃষি কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দীন আরও বলেন, এভাবে ধান চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব কিন্তু লাভবান হওয়া যায় না।