আজীবন সুখে থাকার গোপন কথা
বৃষ্টি রহমান
মানুষের জীবনে ভালো-খারাপ দুটি সময় থাকে। খারাপ সময়ে অনেকে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু প্রতিটা মুহূর্তে জীবনের মানে এবং আনন্দ খুঁজে বের করা উচিত। এমনকি তখনো যখন প্রচুর প্রতিবন্ধকতার মাঝে থাকতে হয়। একটা কথা মাথায় রাখবেন কোনো সমস্যা যতটা কঠিন মনে হয়
তা আসলে ততটা কঠিন নয়। আপনার চিন্তাকে আলোকিত করার জন্য ১০টি পরামর্শ মেনে দেখুন তো কেমন লাগে :
কাজের মধ্যে শান্তি খুঁজুন
কাজে প্রচ- চাপ, মাথাব্যথা করছে কিন্তু এত ব্যস্ততার মাঝে একটু বিশ্রাম তো দূরের কথা কাজগুলো শেষ করতে পারছেন না।
একটি আরামদায়ক জায়গায় স্থির হয়ে বসুন। প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রতিটা নিশ্বাসের সময়ের মধ্যে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত গুনুন। একবার প্রক্রিয়া শেষ হলে আবার করুন। ১ থেকে দেড় মিনিট সময় ধরে যতবার ইচ্ছা ততবার করুন। এই সময়ে অন্য কোনো চিন্তা মাথায় আনবেন না। দেখুন মাথাব্যথা কমে যাচ্ছে।
নিজেকে খুশিতে পরিবর্তন করুন
অনেকের ভেতর নালিশ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যাদের এই স্বভাব আছে তারা নালিশ করার ক্ষেত্রে এমন কাউকে করুন যে আগ্রহ নিয়ে শোনে। তবে এক ব্যক্তির কাছে সবসময় নালিশ করবেন না, তাহলে তিনি অসন্তুষ্ট হতে পারেন। তবে নালিশ কম করলে ভালো।
হাসুন
সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কেউ যদি সিগারেট না খায় তাহলে সে যতটা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় আর যে ব্যক্তি সবসময় আনন্দে থাকার চেষ্টা করে সেও একই স্বাস্থ্যের হয়ে থাকে। সবসময় হাসলে সহজে কেউ অসুখে পড়ে না। এতে আয়ু অনেক বেশি বেড়ে যায়।
হাসি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ওষুধ। গবেষণায় দেখা গেছে, হাসি শুধু ভালো থাকার জন্য নয় এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
টি-সেল এন্টিবডিস যা যুদ্ধ করে শরীরের সংক্রম ব্যাধির সঙ্গে। এই এন্টিবডিসগুলো বৃদ্ধি পায় হাসির মাধ্যমে।
আপনার ভেতরে যদি বিরক্তির সৃষ্টি হয় তাহলে তখন হাসির কিছু পড়–ন কিংবা ভালো লাগার কারও সঙ্গে গল্প করুন। কোনোভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করবেন না।
এক চুটকিতে হতাশা উড়িয়ে দিন
এন্টিডিপ্রেসেন্ট হলো এক ধরনের ওষুধ। যারা হতাশাগ্রস্ত থাকেন তাদের হতাশা কমানোর জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। কিছু লোকের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, মাত্র ৮ শতাংশ লোক এই হতাশায় ভোগে এবং ৯২ শতাংশ বাকি লোক এই ওষুধের মাধ্যমে হতাশা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু যারা এই ওষুধ নেন ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া এটা বাদ দেয়া উচিত নয়।
সপ্তাহে একদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলে হতাশা আপনাআপনি চলে আসে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র ২০ মিনিট ব্যায়াম করা গেলে এতে হতাশা কমবে, অল্পতে উত্তেজিত হবে না, মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং এ্যানার্জি লেবেল অনেক বেড়ে যাবে।
মন খুলে কথা বলুন
নিজের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগান বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। ধরুন, কেউ আপনার বিরক্তির কারণ হয়, তাহলে ৩০ সেকেন্ড সময় নিন। সে আপনার জন্য যা যা ভালো কাজ করেছে তা মনে করুন। দেখুন তার ওপর রাগ কমতে শুরু করেছে। আর যদি মনে করার এমন কিছু না থাকে; তাহলে একটা কাগজ নিন তাকে যা বলতে চান ঝটপট লিখে ফেলুন। তাকে যত ইচ্ছা মন্দ কথা লিখে ফেলুন, দেখবেন মন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি চিন্তা করায় একদিকে যেমন মন ভালো করার একটা রাস্তা পাওয়া যায় তেমনই মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন মন ভালো থাকবে
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। সেই প্রতিবেশী সবসময় বেশি প্রফুল্ল থাকে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলুন। মন খারাপ হয়? অবসরে কথা বলুন মন ভালো লাগবে।
মাছ খান
মাছের ভেতর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে। সামুদ্রিক মাছ এবং সবজি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। যা আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে। যার ফলে হতাশা কমে যাবে।
অন্ধকারে থাকবেন না
আলোর মাধ্যমে সেরোটোনিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। সেরোটোনিন আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আলোর স্বল্পতা থাকলে, বিশেষ করে শীতকালের সময়টাতে মন বিষণœ থাকে বেশি। এ ক্ষেত্রে লাইট বক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে এটা ব্যবহার করতে হবে।
মানুষের জীবনে ভালো-খারাপ দুটি সময় থাকে। খারাপ সময়ে অনেকে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু প্রতিটা মুহূর্তে জীবনের মানে এবং আনন্দ খুঁজে বের করা উচিত। এমনকি তখনো যখন প্রচুর প্রতিবন্ধকতার মাঝে থাকতে হয়। একটা কথা মাথায় রাখবেন কোনো সমস্যা যতটা কঠিন মনে হয়
তা আসলে ততটা কঠিন নয়। আপনার চিন্তাকে আলোকিত করার জন্য ১০টি পরামর্শ মেনে দেখুন তো কেমন লাগে :
কাজের মধ্যে শান্তি খুঁজুন
কাজে প্রচ- চাপ, মাথাব্যথা করছে কিন্তু এত ব্যস্ততার মাঝে একটু বিশ্রাম তো দূরের কথা কাজগুলো শেষ করতে পারছেন না।
একটি আরামদায়ক জায়গায় স্থির হয়ে বসুন। প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রতিটা নিশ্বাসের সময়ের মধ্যে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত গুনুন। একবার প্রক্রিয়া শেষ হলে আবার করুন। ১ থেকে দেড় মিনিট সময় ধরে যতবার ইচ্ছা ততবার করুন। এই সময়ে অন্য কোনো চিন্তা মাথায় আনবেন না। দেখুন মাথাব্যথা কমে যাচ্ছে।
নিজেকে খুশিতে পরিবর্তন করুন
অনেকের ভেতর নালিশ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যাদের এই স্বভাব আছে তারা নালিশ করার ক্ষেত্রে এমন কাউকে করুন যে আগ্রহ নিয়ে শোনে। তবে এক ব্যক্তির কাছে সবসময় নালিশ করবেন না, তাহলে তিনি অসন্তুষ্ট হতে পারেন। তবে নালিশ কম করলে ভালো।
হাসুন
সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কেউ যদি সিগারেট না খায় তাহলে সে যতটা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় আর যে ব্যক্তি সবসময় আনন্দে থাকার চেষ্টা করে সেও একই স্বাস্থ্যের হয়ে থাকে। সবসময় হাসলে সহজে কেউ অসুখে পড়ে না। এতে আয়ু অনেক বেশি বেড়ে যায়।
হাসি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ওষুধ। গবেষণায় দেখা গেছে, হাসি শুধু ভালো থাকার জন্য নয় এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
টি-সেল এন্টিবডিস যা যুদ্ধ করে শরীরের সংক্রম ব্যাধির সঙ্গে। এই এন্টিবডিসগুলো বৃদ্ধি পায় হাসির মাধ্যমে।
আপনার ভেতরে যদি বিরক্তির সৃষ্টি হয় তাহলে তখন হাসির কিছু পড়–ন কিংবা ভালো লাগার কারও সঙ্গে গল্প করুন। কোনোভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করবেন না।
এক চুটকিতে হতাশা উড়িয়ে দিন
এন্টিডিপ্রেসেন্ট হলো এক ধরনের ওষুধ। যারা হতাশাগ্রস্ত থাকেন তাদের হতাশা কমানোর জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। কিছু লোকের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, মাত্র ৮ শতাংশ লোক এই হতাশায় ভোগে এবং ৯২ শতাংশ বাকি লোক এই ওষুধের মাধ্যমে হতাশা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু যারা এই ওষুধ নেন ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া এটা বাদ দেয়া উচিত নয়।
সপ্তাহে একদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলে হতাশা আপনাআপনি চলে আসে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র ২০ মিনিট ব্যায়াম করা গেলে এতে হতাশা কমবে, অল্পতে উত্তেজিত হবে না, মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং এ্যানার্জি লেবেল অনেক বেড়ে যাবে।
মন খুলে কথা বলুন
নিজের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগান বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। ধরুন, কেউ আপনার বিরক্তির কারণ হয়, তাহলে ৩০ সেকেন্ড সময় নিন। সে আপনার জন্য যা যা ভালো কাজ করেছে তা মনে করুন। দেখুন তার ওপর রাগ কমতে শুরু করেছে। আর যদি মনে করার এমন কিছু না থাকে; তাহলে একটা কাগজ নিন তাকে যা বলতে চান ঝটপট লিখে ফেলুন। তাকে যত ইচ্ছা মন্দ কথা লিখে ফেলুন, দেখবেন মন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি চিন্তা করায় একদিকে যেমন মন ভালো করার একটা রাস্তা পাওয়া যায় তেমনই মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন মন ভালো থাকবে
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। সেই প্রতিবেশী সবসময় বেশি প্রফুল্ল থাকে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলুন। মন খারাপ হয়? অবসরে কথা বলুন মন ভালো লাগবে।
মাছ খান
মাছের ভেতর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে। সামুদ্রিক মাছ এবং সবজি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। যা আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে। যার ফলে হতাশা কমে যাবে।
অন্ধকারে থাকবেন না
আলোর মাধ্যমে সেরোটোনিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। সেরোটোনিন আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আলোর স্বল্পতা থাকলে, বিশেষ করে শীতকালের সময়টাতে মন বিষণœ থাকে বেশি। এ ক্ষেত্রে লাইট বক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে এটা ব্যবহার করতে হবে।