২০ লাখ বিদেশি নাগরিককে সৌদি আরব ছাড়তে হচ্ছে
কমপক্ষে ২০ লাখ বিদেশি নাগরিক চাকরি হারিয়ে সৌদি আরব ছেড়ে চলে
যাচ্ছেন। কারণ আড়াই লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের প্রতিষ্ঠানকে কালো
তালিকায় চিহ্নিত করেছে দেশটির সরকার। সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের
নিতাকাত ব্যবস্থাপনা বিভাগ বিষয়টি গত বুধবার নিশ্চিত করেছে। আরব নিউজদিন
কয়েক আগে সৌদি আরবের মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যেসব বিদেশি
নাগরিক দেশটিতে বিধি সম্মতভাবে ব্যবসা করছে না বা বাধ্যতামূলকভাবে সৌদি
আরবের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের দিকে নজর দিচ্ছে না তাদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া যে সব প্রতিষ্ঠান বিদেশি শ্রমিক তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্যে নিয়োগ দিয়েছে তাদের অনেকে ওই কাজ না করে তারা নিজেরাই ছোট খাট ব্যবসা করছে। সৌদি সরকার এসব বিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। সৌদি আরব সরকার ইতিমধ্যে আড়াই লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সৌদি নাগরিককে কাজ না দেয়ার জন্যে। তাদের লাইসেন্স রিনিউ করা হবে না যতক্ষন না পর্যন্ত তারা অন্তত একজন সৌদি নাগরিককে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি না দেবে। সাধারণত সৌদি নাগরিকদের উচ্চ বেতন ও সুবিধা দিতে হয় বলে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে কালো তালিকাভুক্ত আড়াই লাখ প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স রিনিউ না করার পর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের আকামা বাতিল করে দেয়া হবে। এছাড়া আঞ্চলিক গভর্নরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে প্রতিষ্ঠান সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এব্যাপারে জানাতে। গত ১ মাসের হিসেবে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ১ জন সৌদি নাগরিককে নিয়োগ না দিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৭ মার্চ তাদের শেষ সময় দেয়া হয় সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দানের জন্যে। এছাড়া ২ লাখেরও বিদেশি নাগরিককে গত চার মাসে সৌদি আরবে অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করার দায়ে বহিস্কার করা হয়েছে বলে সৌদি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সৌদি আরব থেকে যাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করায় তাদের আবাসিক পারমিট রিনিউ করা হয়নি। জেদ্দায় কাজ করছেন এমন এক ভারতীয় সাংবাদিক উসমান ইরামপুঝি জানান, সৌদি আরবে এধরনের অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের বহিস্কার অব্যাহত রয়েছে শুধু। যারা বিধি মেনে ব্যবসা করছে ওসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ভারতীয় ওই সাংবাদিক আরো জানান, তার দেশের বেশ কিছু নাগরিককে দেশে ফিরে যেতে হয়েছে। প্রতিদিন জেদ্দা থেকে অন্তত ১শ’ ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরে যাচ্ছে। তবে এভাবে বিভিন্ন নাগরিক নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ায় লোকজনের অভাব হচ্ছে এবং জিনিস পত্রের দামও বেড়ে যাচ্ছে।
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া যে সব প্রতিষ্ঠান বিদেশি শ্রমিক তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্যে নিয়োগ দিয়েছে তাদের অনেকে ওই কাজ না করে তারা নিজেরাই ছোট খাট ব্যবসা করছে। সৌদি সরকার এসব বিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। সৌদি আরব সরকার ইতিমধ্যে আড়াই লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সৌদি নাগরিককে কাজ না দেয়ার জন্যে। তাদের লাইসেন্স রিনিউ করা হবে না যতক্ষন না পর্যন্ত তারা অন্তত একজন সৌদি নাগরিককে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি না দেবে। সাধারণত সৌদি নাগরিকদের উচ্চ বেতন ও সুবিধা দিতে হয় বলে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে কালো তালিকাভুক্ত আড়াই লাখ প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স রিনিউ না করার পর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের আকামা বাতিল করে দেয়া হবে। এছাড়া আঞ্চলিক গভর্নরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে প্রতিষ্ঠান সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এব্যাপারে জানাতে। গত ১ মাসের হিসেবে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ১ জন সৌদি নাগরিককে নিয়োগ না দিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৭ মার্চ তাদের শেষ সময় দেয়া হয় সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দানের জন্যে। এছাড়া ২ লাখেরও বিদেশি নাগরিককে গত চার মাসে সৌদি আরবে অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করার দায়ে বহিস্কার করা হয়েছে বলে সৌদি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সৌদি আরব থেকে যাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করায় তাদের আবাসিক পারমিট রিনিউ করা হয়নি। জেদ্দায় কাজ করছেন এমন এক ভারতীয় সাংবাদিক উসমান ইরামপুঝি জানান, সৌদি আরবে এধরনের অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের বহিস্কার অব্যাহত রয়েছে শুধু। যারা বিধি মেনে ব্যবসা করছে ওসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ভারতীয় ওই সাংবাদিক আরো জানান, তার দেশের বেশ কিছু নাগরিককে দেশে ফিরে যেতে হয়েছে। প্রতিদিন জেদ্দা থেকে অন্তত ১শ’ ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরে যাচ্ছে। তবে এভাবে বিভিন্ন নাগরিক নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ায় লোকজনের অভাব হচ্ছে এবং জিনিস পত্রের দামও বেড়ে যাচ্ছে।