এইচএসসির ফল আগস্টের প্রথম সপ্তাহে

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। বুধবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ফল প্রকাশের অনুমতি চেয়ে দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। ফল প্রকাশে এখন প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।

আন্তঃবোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ৩ আগস্ট ৬০ দিন শেষ হয়। কিন্তু ২ ও ৩ আগস্ট শুক্র ও শনিবার থাকায় এ দুদিন ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। সে হিসেবে আগামী ১ আগস্টই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কোনো কারণে এদিন ফল প্রকাশ না হয় তাহলে ৪ আগস্ট হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম গতকাল বুধবার বলেন, ১ আগস্ট থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে যে কোনো দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত রয়েছে আন্তঃবোর্ড। এ ৫ দিনের মধ্যে যে কোনো দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ হবে। গত মঙ্গলবার আন্তঃবোর্ডের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সেজন্য ফল প্রকাশে প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়।
শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ হবে। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে বিরোধী দলের ডাকা হরতালের কারণে এইচএসসি ও সমমানের ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী গত ৩ জুন তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয়। গত ১ এপ্রিল শুরু হওয়া এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২৮ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১ জুন শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ১৪ জুন। কিন্তু হরতালের কারণে পেছানো হয় ব্যবহারিক পরীক্ষাও।
সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি এবার সাতটি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা নেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যে সাতটি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেয় সেগুলো হলো বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র, পৌরনীতি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার সাত হাজার ৮০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬২ জন এবং ছাত্রী চার লাখ ৭৬ হাজার ৯১৯ জন। গতবারের তুলনায় এবার ৮৫ হাজার ৭৬৭ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। ২০১২ সালের পরীক্ষায় ৯ লাখ ২৬ হাজার ৮১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

,
Powered by Blogger.