না, গিনেস রেকর্ডের কোন খবর নয় ! খুঁটির ওপর জজকোর্ট

না, গিনেস রেকর্ডের কোন খবর নয় !  বাগেরহাট জজকোর্ট ভবনের নিচতলা ও দোতলার ছাদের বিমগুলোর নিচে মেহগনি গাছের খুটি লাগিয়ে ঠেলেঠুলে রাখার চেষ্টা চলছে। আদালত ভবন নির্মাণের মাত্র ১৭ বছরের মধ্যে ভেঙে

পড়ার উপক্রম হওয়ায় এই ব্যবস্থা। গণপূর্ত বিভাগ রবিবার জরুরিভিত্তিতে ভবনের নিচতলা ও দোতলার ছাদের বিমগুলোর নিচে মেহগনি গাছের বল্লি ঠেকিয়ে ঠেলেঠুলে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করে। ভবনে কাঠের বল্লি লাগানোর কাজ শুরু হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উত্কণ্টিত হয়ে পড়েছেন।
গণপূর্ত খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ‘ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে’ বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে প্রায় তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫ হাজার ২৭০ বর্গফুট আয়তনের বাগেরহাট জেলা জজ আদালত ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৫ সালের ৩০ আগস্ট তিনতলা ভিত্তি সম্পন্ন দ্বিতল ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরবর্তীতে ২০০৩-০৪ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনের সম্মুখভাগে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়। এ ধরনের ভবনগুলোর স্বাভাবিক জীবনকাল হিসেব করা হয় পঞ্চাশ বছর। তবে অভিযোগ রয়েছে, অতি নিম্নমানের নির্মাণ কাজ এবং পরবর্তীতে ভবনের সক্ষমতা নির্ধারণ ছাড়াই সম্প্রসারণের কারণে নির্মাণের মাত্র ১৭ বছরের মধ্যে ভবনটির কলাম ও বিম ফেটে ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার ‘অনুপযোগী’ হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই ভবনের এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনটি ব্যবহার করেন। তাই অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।’ বল্লি স্থাপন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রবিবার ভবনের বিভিন্ন স্থানে ৭৪টি বল্লি স্থাপন করা হয়েছে। আরও বল্লি স্থাপন করা হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রবিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নিশিত রঞ্জন পাল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে প্রাথমিক ঝুঁকি প্রশমনে বল্লি দিয়ে বিমের ভার কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী বল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

,
Powered by Blogger.