ডেসটিনির ৫৩৩টি একাউন্টে মাত্র ১৫ কোটি টাকা!
ডেসটিনি গ্রুপের জব্দ হওয়া ৫৩৩টি ব্যাংক একাউন্টে
মাত্র ১৫ কোটি টাকা আছে মর্মে আদালতকে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) বিশেষ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। গত ২ অক্টোবর দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) পক্ষে দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী
পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের আবেদনক্রমে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল
হক একাউন্টগুলি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডেসটিনি
পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের রিমান্ড শুনানিতে কাজল বলেন,
“আসামি দিদারুল আলম ডেসটিনির পরিচালক। তার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকেই তিনি ২২
কোটি ৪২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। ডেসটিনির সাড়ে ৮ লক্ষ গ্রাহকের টাকা
তিনি অপরাপর আসামিসহ আত্মসাত করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “ডেসটিনি ৬ কোটি ১৮
লক্ষ গাছ বিক্রি করেছে। আর লাগিয়েছে মাত্র ৮১ লাখ। আর গ্রাহকদের
সার্টিফিকেট দিয়েছে আরও কম।” তিনি আদালতকে জানান, ডেসটিনি তার সাড়ে ৮ লক্ষ
গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
টাকাগুলোর নিরাপত্তার জন্য ডেসটিনি গ্রুপের ৫৩৩ টি
ব্যাংক একাউন্ট আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন,
৩১টি ব্যাংকের ডেসটিনি গ্রুপের ৫৩৩টি একাউন্টে মাত্র ১৫ কোটি টাকা আছে।
শুনানি শেষে ডেসটিনি পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমকে ৮ দিন রিমান্ড
মঞ্জুর করেছেন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর আহমেদ।
উল্লেখ্য, সোনালী, অগ্রণী, জনতা, উত্তরা, এবি,
ন্যাশনাল, সিটি, ইসলামী, সোসাল ইসলামী, ইউসিবিএল, ইস্টার্ন, এনসিসি,
প্রাইম, সাউথ ইস্ট, ঢাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট, ডাচ বাংলা, স্ট্যান্ডার্ড,
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ওয়ান, কমার্স, যমুনা, প্রিমিয়ার, এশিয়া, ট্রাস্ট,
শাহজালাল, ব্র্যাক, আল আরাফা ইসলামী, এইচএসবিসি ও পূবালী ব্যাংকে
ডেসটিনির এ ৫৩৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এ সম্পর্কে ডেসটিনির আইনজীবী ঢাকা
মহানগর সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজি জানান, ডেসটিনির আরও কিছু
ব্যাংক একাউন্ট এর আগেও জব্দ হয়েছে। যা নিয়ে হাইকোর্টে রিট বিচারাধীন আছে।