বিরোধের জের ধরে স্ত্রী কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপদের জব্দ করতে স্বামীর হত্যা মামলা

খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার খড়িয়া ঢেমসাখালী মৌজায়, জমাজমি সংক্রান্তে বিরোধের জের ধরে স্ত্রী করিমন্নেছাকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপদের জব্দ করতে স্বামীর হত্যা মামলা। আর উক্ত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে অব্যহতি সহ প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ সাইফুল্যা সানা
khulna-paikgasha-1.JPG
আমি একজন ছাত্র।
খুলনার বি. এল কলেজে অনার্স পড়ি। আমার সাথে পড়াশুনার জন্য আমার ভাই শাহিনুরও খুলনায় থাকেন। ছুটির সময় ছাড়া আমরা গ্রামের বাড়ীতে যাইনা। আমাদের ঘনিষ্ট আত্মীয় বাবর আলী শিকারী, পিতা- আফতাব শিকারী, সাং- খড়িয়া, থানা- পাইকগাছা, জেলা- খুলনা। ভূমিহীন কৃষক হিসাবে ৩৫২/০৬-০৭ নম্বর বন্দোবস্ত কেস মাধ্যমে রেজিঃ দলিল বুনিয়াদে মিনহাজ নদীর দণি পাড়ে নুরপুর আমিরপুর মৌজার চরভরাটি ৬৬ শতক জমি পান। সেখানে তিনি স্বপরিবারে ঘর-বাড়ী নির্মাণে বসবাস করছেন। অন্যদিকে মোঃ ফজলুর রহমান, পিতা-  মৃতঃ সামছুর রহমান, সাং- খড়িয়া ভূমিহীন কৃষক হিসাবে একই মিনহাজ নদীর উত্তর পাড়ে খড়িয়া চেমসাখালী মৌজার চরভরাটি ১.০০ একর জমি ৬৩৫/৭৮-৭৯ নম্বর বন্দোবস্ত কেস মাধ্যমে রেজিঃ দলিল পান। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ ফজলুর রহমান তার জমির আইল সীমানা সহ বাবর আলীর প্রাপ্য খাস জমি জবর দখল ও ঘরবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র করিতে থাকে। এক পর্যায়ে ফজলুর রহমান বাদী হয়ে বাবর আলী শিকারী সহ ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে। যাহার কেস নং- ১৪, তাং- ০৬/০৮/০৯ ইং আমরা উক্ত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে জামিন লাভ করি। মামলাটি বিচারাধীন আছে। অতঃপর ফজলুর রহমান আমাদের জব্দ করতে না পেরে ভূমিহীন বাবর আলী শিকারী ও তাহার সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
মামলাবাজ ফজলুর রহমানকে তার প্রতিবেশী কুচক্রী আবুল কাশেম ঢালী, উজির আলী সানা, শামিম সানা ও মনিরুল ইসলামের কু-পরামর্শে ফজলুর রহমান তার অসুস্থ স্ত্রী করিমন্নেছাকে গত ইং- ১৪ সেপ্টেম্বর’ ১২ তারিখ পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। আর যখমী স্ত্রীকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে রক্তখরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এবার স্ত্রীকে হত্যা করে প্রতিপ বাবর আলী সহ তার ঘনিষ্ট আত্মীয় এবং সহযোগী আমাদের জব্দ করতে পাইকগাছা থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা করেছে। যার নম্বর- ১৭, তাং- ১৪/০৯/১২ইং। এই মামলায় ১/৯ নং আসামী দিনমজুরী করে ও এলাকার বাইরে থাকে। ২নং আসামী খুলনায় রিক্সা চালায়। ৩নং আসামী পাসপোর্টযোগে গত ইং- ২০ আগষ্ট থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ছিল। ৪/৫ নং আসামী আমি এবং আমার সহোদর ভ্রাতা বি. এল কলেজে পড়ি এবং নদীর পূর্বপাড়ে এক ছাত্রাবাসে থাকি। ৭নং আসামী একজন মহিলা তিনি পিত্রালয়ে ছিলেন। ৮নং আসামী স্থানীয় মিনহাজ বাজারে নিজ দোকানে ছিলেন। মামলার ঘটনার সময় আমি সহ অন্যান্য কোন আসামীই ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এই করিমন্নেছা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। ফজলুর রহমান কু-লোকের, কু-পরামর্শে বাবর আলীর স্বত্ত্ব দখলী ঘরবাড়ী সহ জমাজমি জবর দখল ও আত্মসাৎ করার জন্য হত্যা মামলা সহ অন্যান্য মামলা করে আমাদের অযথা হয়রানী করছে। স্ত্রী হত্যার নায়ক মামলাবাজ ফজলুর রহমান হত্যা মামলা করে তার সহযোগীদের নিয়ে ইতিমধ্যে ভূমিহীন বাবর আলীর ঘরবাড়ী ও জমাজমি দখল করে নিয়েছে। এখন তারা ঐ জমির দাবী ত্যাগ করতে বলছে। তাহলে ফজলুর রহমান মামলা তুলে দেবে বলে জানাচ্ছে। আমি সহ মামলার নীরিহ অনেকেই মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছি। মিথ্যা মামলায় ও পুলিশি হয়রানীর কারণে এলাকার নীরিহ ৮/১০টি পরিবার আজ ভিটা ছাড়া হওয়ার উপক্রম। তাই আমরা মিথ্যা, ষড়য়ন্ত্রমূলক হত্যা মামলা থেকে রা পেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।

Powered by Blogger.