প্রাইভেট কারে বসিয়ে দুই মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল বাবা

স্ত্রী, পাঁচ সন্তান আর বাবা মাকে নিয়ে ভরা সংসার গোবিন্দ রাঠোড়ের। কিন্তু রগচটা আর বদমেজাজি গোবিন্দকে নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাদের জন্য ছাড়তে হয় কাজ। শেষে তাকে কিনে দেওয়া হয় একটি অটো। সেটা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত আহমেদাবাদের নারোদা এলাকার ডি কলোনির এই বাসিন্দা।

গোবিন্দর চার মেয়ে,এক ছেলে। বড় দুই মেয়ে
সবরমতীতে গান্ধী আশ্রমের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। ছোট দুই মেয়ে নেহা আর পুনম বাড়িতেই থাকত। পড়ত পুরসভার স্কুলে।

বৃহস্পতিবার সকালে সে স্ত্রীকে বলে,দুই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেবে। অটোয় চাপিয়ে। নিয়ে যেতে চায় ছেলেকেও। কিন্তু রাজি হননি স্ত্রী ইন্দু। তিনি বলেন, এক বছরের ছেলে নিজে নিজে অটোয় বসতে পারবে না।

এরপর গোবিন্দ অটোয় দুই মেয়েকে বসিয়ে রওনা দেয়। কিন্তু স্কুলের বদলে অটো নিয়ে যায় মেঘানিনগর এলাকায়। পুলিশ-সিআইডি থানার সামনে অটো দাঁড় করিয়ে পেট্রল ঢেলে দেয়। জীবন্ত পুড়ে মারা যায় ছয় আর সাত বছরের দুই মেয়ে।

দুই মেয়েকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল গোবিন্দ। কিন্তু ঘাতক বাবাকে ধরে ফেলে পথচারীরা। তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করেছে পুলিশ। তাদের ধারনা ছেলেকেও মারবে বলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল সে। গোবিন্দর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে পুলিশের ধারনা। এক বাবার হাতে এই নারকীয় ঘটনায় আতঙ্কিত মেঘানিনগর এলাকা।

অন্যদিকে,দুই শিশুর মৃত্যুতে শোকের আবহ নারোদা অঞ্চলে। এই ঘৃণ্যতম কাজের জন্য গোবিন্দর কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা চান প্রতিবেশীরা।

,
Powered by Blogger.