রাজধানীতে স্ত্রীসহ এসবি ইন্সপেক্টর খুন

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চামেলিবাগের (বাসা নম্বর ২, বিল্ডিং-চামেলি, ৬ তলা, ফ্ল্যাট বি-৫) নিজ বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট
। তবে ঘটনার পর থেকে নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী (১৭) ও কাজের মেয়েকে (১০) পাওয়া যাচ্ছে না।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবীব খবরটি নিশ্চিত করে  জানান, নিহতদের দেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতে তাদের হত্যা করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি-মতিঝিল জোন) মেহেদী হাসান জানান, বিকেল ৫টার দিকে নিহতদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া থানায় ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের গলিত লাশ একটি শয়নকক্ষের পাশের বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।

এডিসি আরও জানান, বাসাটির ভেতর থেকে তালা দেয়া ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুই/তিন দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দা ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দম্পতির বাসায় কাউকে না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে এসবি ডিআইজি (পলিটিক্যাল বিট) মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান অফিস করেন। বৃহস্পতিবার ছুটি থাকায় তিনি আর অফিস আসেননি।’

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ে ঐশী তার ভাই ওহী (৭) ও কাজের মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তখন ঐশী তার ভাইকে বলে, ‘বাবা-মা বাসায় নেই চলো আমরা খালুর বাসায় যাই।’

মোশাররফ আরো জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঐশী তার মায়ের মোবাইল থেকে তার খালুকে ফোন করে বলে, ‘আমরা বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি। কিছুক্ষণ পর আপনার বাসায় আসছি।’ কিন্তু এরপর তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঐশীর খালু আত্মীয়স্বজনদের ফোন দেন। পরের দিন ঐশীর মামাকে নিয়ে ওই খালু বাসায় চলে আসেন। এসে দেখেন ওহী বাসার নিচে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু বাসা তালাবদ্ধ। এ সময় ওহী তাদের জানায়, তার বোন তাকে একটি সিএনজিতে করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে আর বলেছে, তুমি বাসায় যাও, বাসার নিচে মামা আছে। আমরা পরে আসছি।-বাংলামেইল

Powered by Blogger.