ডিবির কার্যালয়ে রনির বিনিদ্র রাতের কান্না!

গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে বিনিদ্র রাত কাটালেন এমপি গোলাম মাওলা রনি। তার স্বাভাবিক রাত যাপনের ছন্দ পতন ঘটল গতকাল।  রাতে ডিবির গারোদ খানায় রাখা হয় সরকার দলীয় এ এমপিকে। সেখানেই তিনি নিশি যাপন
করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত রোজার দিনে রনি রাতে তারাবিহ নামাজ পরে হালকা নাস্তা করে ঘুমিয়ে পরেন। ভোর রাতে উঠে সেহরি খেয়ে কোরআন তেলাওয়াত করে ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমান। কিন্তু গতকাল রাতে তার নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। রাতে তারাবিহ নামাজ পড়েছেন একাই। তারপর আর ঘুম হয়নি তার। বিভিন্ন ভাবনা থাকে আচ্ছাদিত করে রাখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাতে ঘুমানোর চষ্টো করেছিলেন রনি। কিন্তু তিনি হয়তো ঘুমাননি। তাকে এপাশ-ওপাশ করতে দেখা গেছে। ভোর রাতে সেহরি খেয়েছেন। বাসা থেকে সেহরির খাবার পাঠানো হয়েছিল। সেগুলোই খেয়েছেন তিনি। তারপর আর ঘুমাননি। নামাজ পরে বিষন্ন মনে বসেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, সাংবাদিক পেটানোর মামলায় গ্রেপ্তার রনি একটু ভেঙেই পড়েছেন। তারপাশে এতোদিন অনেকে থাকলেও এখন আর কেউ নেই। একা হয়ে পড়েছেন সরকার দলীয় এই সাংসদ। গতকাল রাতে অনেক কাছের মানুষই তার সঙ্গে দেখা করতে যাননি। এনিয়ে ভাবনায় পেয়েছেন তাকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে তার জামিন আবেদন বাতিল করে গ্রেপ্তারের পারোয়ানা জারি করে আদালত। এর আগে দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে সাংসদ রনির জামিন আবেদন বাতিলের আবেদন করে পুলিশ।
জামিন বাতিল আবেদন শুনানির সময় শাহবাগ থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু জাফর আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সাংসদ গোলাম মাওলা রনির জামিন বাতিলের জন্য বাদীপক্ষ সাধারণ ডায়েরিতে যেসব অভিযোগ করেছেন তদন্ত করে এর সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সাংসদ রনির জামিন বাতিল না করলে মূল মামলার তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটবে।
সাধারণ ডায়েরিতে অভিযোগ করা হয়, সাংসদ রনি জামিন পাওয়ার পর টেলিফোনে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির অফিসে ফোন করে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় মামলার বাদীপক্ষের লোকজনদের দেখে তিনি হুমকি দিয়েছেন। সাধারণ ডায়েরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পুলিশ।
আর আগে গত ২১ জুলাই ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুলকে মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা হত্যা প্রচেষ্টার মামলায় গোলাম মাওলা রনিকে জামিন দেন আদালত। গত ২০ জুলাই হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগে বিকালে সাংসদ রনিসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ওই টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুছ আলী।

, ,
Powered by Blogger.