স্বামীর অজান্তে স্ত্রীর প্রেম বাণিজ্য!

কুমিল্লা মহানগরীর আশ্রাফপুর ইয়াসিন মার্কেট এলাকার থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসিপত্র নিয়ে স্বামীর অজান্তে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে স্ত্রী শারমিন আক্তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্ত্রীর
সন্ধান পাওয়ার জন্য স্বামী দক্ষিণ চর্থা এলাকার মৃত মোঃ তারু মিয়ার পুত্র মোঃ ছাব্বির হোসেন চৌধুরী সদর দক্ষিণ মডেল থানায় গত ২২ জুন ২০১২ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও স্ত্রী ফিরে না আসায় উল্টো স্ত্রীর পরিবারের লোকজন স্বামী ছাব্বির হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি ও হয়রানি করছে। যার ফলে সে চাকুরীতে যোগদান নিয়েও সংশয়ের মধ্য দিন কাটাচ্ছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়- ২০১০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রেম করে পিতা মাতার অমতে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক কুমিল্লার গোবিন্দপুর এলাকার শাহনাজ বেগম ও সাহিদ মিয়ার কন্যা শারমিন আক্তার (১৯) এর সাথে দক্ষিণ চর্থার মৃত তারু মিয়ার পুত্র ছাব্বির হোসেনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাদের এ বিবাহ ছাব্বির হোসেনের অভিভাবকরা মেনে না দেওয়ায় সাব্বির হোসেন স্ত্রী শারমিন আক্তারকে নিয়ে আশ্রাফপুর ইয়াসিন মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। সাব্বির হোসেন বেসরকারী একটি ফার্মে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করতো। চাকুরী করার সুবাধে স্ত্রী শারমিন আক্তার পরকীয় এক প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার মা বাবার সামনে দিয়ে প্রেমিক প্রতিদিনই বাসায় আসা যাওয়া করতো। কিন্তু কখনো মা শাহনাজ বেগমও বাবা সাহিদ মিয়া কন্যার কুকর্মের বিষয়ে কোনও প্রতিবাদ করেনি। পরকীয়ার জের ধরে গত ২২ জুন স্ত্রী শারমিন আক্তার বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সাব্বির হোসেন অফিস থেকে রাত ৮টায় বাসায় এসে স্ত্রী কে না পেয়ে অনেক খোঁজাখোঁজি এমনকি স্ত্রীর মোবাইল ০১৯৪২৭২৯৪৬৩ নম্বরে ফোন দিলে নম্বর বন্ধ পান। পরে বাসার লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান সে এক পুরুষের সাথে বাসা থেকে বের হয়েছে। হাতে একটি বড় ব্যাগ ছিল। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ২০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও স্ত্রীকে ফিরে না পেয়ে নিজেও কাতর হয়ে গেছে। অন্যদিকে স্ত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ মেয়েকে ভারতে কিংবা অন্য কোথাও পতিতা ব্যবসা করছে ছাব্বির হোসেন। এরই জের ধরে সাব্বির হোসেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজের পিত্রালয় থেকে বের হচ্ছে না এবং চাকুরীতে যোগদান করতে ভয় পাচ্ছেন। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তার ছোট ভাই রিপন।
এদিকে সাব্বির হোসেনের ভাই রিপন জানায়- শারমিন আক্তারের এ পর্যন্ত ৩টি বিয়ে হয়। ২০০৪ সালে চাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী আক্কাসের পুত্র মোঃ তারেকুল ইসলামের বিবাহ হয় সাহেদা আক্তার শারমিনের। দীর্ঘদিন বিবাহিত জীবন অবসান ঘটিয়ে ১২/৮/২০১০ সালে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে ওই স্বামীকে তালাক প্রদান করে। তার মা তাকে দিয়ে বিভিন্ন জায়গা পতিতা ব্যবসা করার অভিযোগ করেন। রিপন আরও জানায়- গোবিন্দপুর এলাকার মোঃ সিরাজ মিয়ার পুত্র মোঃ সুমন মিয়া, মৃত আব্দুল মতিন মিয়ার পুত্র চারু মিয়া, দৌলতপুর এলাকার মৃত গনি মিয়ার স্ত্রী জুলেখা বেগম, মৃত আব্দুল বারেক সর্দারের পুত্র মোঃ ফরিদ উদ্দিন সর্দার, মৃত ইছাম উদ্দিন খানের পুত্র মোঃ সিরাজ মিয়াসহ গোবিন্দপুর ও দৌলতপুর এলাকার কতিপয় লোকজনের মাধ্যমে স্বামীর অজান্তে শারমিন আক্তারকে বিভিন্ন জায়গা পতিতা ব্যবসা বাণিজ্য করাতো। তার পিতা একজন নেশাগ্রস্ত বলেও দাবী করেন তিনি। রিপন জানায়-তার মা শাহনাজ বেগম মেয়ে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিয়ের নামে ব্যবসা করছে। বৎসর খানিক ছেলে সাথে রেখে পরে মেয়েকে অন্য পুরুষের সাথে লেলিয়ে দিয়ে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং মহরনার হক দাবী করে। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় শারমিন আক্তারের মা শাহনাজ বেগম একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।

,
Powered by Blogger.