মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এসআই এর পর এবার আনসার সদস্য গ্রেপ্তার

ধর্ষণের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জে এবার এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই জেলায় এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো পুলিশের এক
এসআইকে।পুলিশ জানায়, মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার একটি টেক্সটাইল মিলের ভেতর চারদিন আটক রেখে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মিনহাজ মিয়া (৩০) নামে ওই আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে ধর্ষক আনসার সদস্যের সহযোগী ওই টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তারক্ষী শফিকুল ইসলাম (৪০) পালিয়ে গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গজারিয়া থানা পুলিশ উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় কাশেম আলী টেক্সটাইল মিলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে ওই কিশোরী গজারিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
রোববার সকালে ওই টেক্সটাইল মিলের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক হারনুর রশীদ মোল্লা বাদি হয়ে গজারিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ ৫ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক ধর্ষণের শিকার কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। সোমবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে।
গজারিয়া থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার ডিপটি বাড়ৈপাড়া এলাকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে গজারিয়া উপজেলার কাশেম আলী টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তা রক্ষী আনসার সদস্য মিনহাজ। বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ওই কিশোরী গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রেমিক আনসার সদস্যের টানে গজারিয়ায় কাশেম আলী টেক্সটাইল মিলে ছুটে আসে। এরপর থেকে ওই টেক্সটাইল মিলের একটি কক্ষে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিল ওই আনসার সদস্য।
ধর্ষক আনসার সদস্য মিনহাজ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চল চরকেওয়ার ইউনিয়নের চরকেওয়ার গ্রামের নাসির হক সরদারের ছেলে।

,
Powered by Blogger.