ব্রিটেনের স্কুলগুলোতে যৌন শিক্ষার তালিম

ব্রিটেনের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের অবৈধ যৌন আবেদনে কিভাবে ‘না’ বলতে হয় তা শেখানো হচ্ছে। অনলাইনে পর্ণগ্রাফির ছোবল থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতেই
এধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পাঠদান প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যে বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করা হচ্ছে। সান
ব্রিটিশ শিক্ষা সচিব মাইকেল গোভ বলেছেন, যৌন হয়রানি থেকে শিশুরা কিভাবে রেহাই পেতে পারে সে ব্যাপারে বিশেষ কারিকুলাম শিক্ষকদের দেয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোন, নেট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো তথ্য বা ছবি পেলেও তা থেকে যৌন হয়রানির খপ্পরে না পরে বা কিভাবে তা সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা ক্লাসে শেখানো হবে।
এর আগে স্কুল পর্যায়ে যৌনতা ও এইচআইভি’র বিপদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শেখানো হত। কিন্তু লেবার পার্টির সংসদ সদস্য স্টেলা ক্রেইজি বলেছেন, ইন্টারনেটে হার্ডকোর পর্ণ পাওয়া খুবই সহজ এবং তা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ফাঁদে ফেলতে না পারে সেজন্যেই এ ব্যাপারে বিশেষ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পর্ণগ্রাফির ছোবল থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায়, কোনো মেয়ে বা ছেলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কিভাবে যৌন আবেদন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে বা এটা ঠিক নয়, এভাবে ‘না’ বলতে পারাটা তাদের জন্যে একাত্ম জরুরি এবং সেই তালিম তাদের দেয়া হচ্ছে।
স্টেলা ক্রেইজি আরো বলেন, ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেও কিভাবে যৌন হয়রানি থেকে নিজেকে সযতনে দূরে সরিয়ে রাখা যায় এবং এধরনের সন্ত্রাস বা দুর্ঘটনা ঘটার আগেই নিজেকে কিভাবে সাবধানতার সঙ্গে রক্ষা করা যায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
টরি দলের সংসদ সদস্য সারাহ ওললাস্টোন বলেন, অনলাইনে পর্ণোগ্রাফির ছোবল ঠেকাতেই এ নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে। কারণ পর্ণোগ্রাফি যুবকদের উদ্বুদ্ধ করে যে মেয়েরা উগ্র যৌনতা পছন্দ করে এবং এধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
তবে ব্রিটিশ শিক্ষা বিভাগ বলছে, কোমলমতি শিশুরা কিভাবে যৌন হয়রানি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনেকটা সজাগ হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, যৌনতা নিয়ে নতুন এধরনের শিক্ষা শিক্ষাথীদের ভাল মানুষ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাহায্য করবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের নেট টেক্স নিয়ে শিক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ব্লগ, ইমেইল এবং টুইটার ব্যবহার নিয়ে যে শিক্ষা আগে স্কুল পর্যায়ে ক্লাসে দেয়া হতে তা আর দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা অনলাইনের বিষয়বস্তু নিয়ে নিজেদের মধ্যে সঠিক পছন্দ বাছাই করতে পারছে। তারা এখন ‘ক্লাসিক’ সাহিত্য, কবিতা, গণিত, ভুগোল, বিজ্ঞান ও বিদেশি ভাষার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

Powered by Blogger.