ধর্মবোন ডেকে জোড়পূর্বক বিয়ে - ৩ দিন হোটেলে রেখে দৈহিক মেলামেশার ঘটনা ফাঁস

দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রী আকলিমাকে জোড়পূর্বক বিয়ে করে ৩ দিন হোটেলে রেখে দৈহিক মেলামেশার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।ঝালকাঠি গাভা
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বেরমহল গ্রামের আফসার আলী হাওলাদারের ছেলে দু’সন্তানের জনক মোঃ সিদ্দিক হাওলাদার ধর্মবোন ডেকে কলেজের ছাত্রীর সর্বনাশ করে বর্তমানে আত্মগোপন করেছে।
ঘটনার বিচার চেয়ে একই গ্রামের আকলিমা নিজেই বাদি হয়ে গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লিটন জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মায়ের সাথে ইউনিয়ন পরিষদে আসা কান্নায় ভেঙ্গে পরা আকলিমা মোবাইলে জানান, আমার মা ভিক্ষা করে আমাকে পড়ালেখা করানোর ফলে বর্তমানে বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি হয়েছি।
আমাদের এলাকার মেম্বর সুলতান হোসেনের কাছে একটি সুপারিশের জন্য গেলে সে আমাকে সিদ্দিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
এ সূত্র ধরেই দারিদ্র ও সরলতার সুযোগ নিয়ে সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ধর্মবোন ডেকে পড়াশুনার দায়দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সে ও আমি এক মায়ের সন্তান বলেও দাবী করায় গত ১৫ মে তারিখ আমাকে মোবাইলে বানারিপাড়া যেতে বলে সরল বিশ্বাস আমি সেখানে যাই।
এ সময় সিদ্দিক আমাকে চাখার সরিকল মহিলা মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে সেখানে পূর্বেই অপেক্ষমান রায়েরহাট এলাকার কাজি খালেকের যোগসাজসে আমাকে দেড় লাখ টাকা দেন মোহরানায় বিয়ের কাবিনে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করায়। তখন আমি কাবিনের কাগজ চাইলে সে দেয়নি।
সেখান থেকে সিদ্দিক বরিশাল কাঠপট্টি পূর্নীমা হোটেলে নিয়ে ৩ দিন আমাকে আটকে রাখে। জোড়পূর্বক তার সাথে মেলামেশা করতে বাধ্য করে।
এদিকে একই সময় সিদ্দিক ও আমাকে না পাওয়ায় এলাকাবাসির সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই এসব ঘটনা কারো কাছে জানালে আমাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করার ভয় দেখিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
বাড়িতে এলে আমি ইজ্জতের ভয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চুপ থাকি। এ ঘটনা আমার মায়ের কাছে বলায় এলাকায় জানাজানি হয়। তারপর থেকেই সিদ্দিক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আকলিমা জানায়, তার বিচার চাইতেই ইউনিয়ন পরিষদের আদালতে মামলা করতে এসেছি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লিটন জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরে ঝালকাঠি থানার ওসিকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে সিদ্দিকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি প্রথমে আকলিমার সাথে কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। পরে জানান, আকলিমা স্বার্থের জন্য এসব করছে।
আকলিমার সাথে আপনার কোন সম্পর্ক না থাকলে কেন স্বার্থ চাইবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেক কথা। টেলিফোনে বলা যাবেনা। তবে এ বিষয়ে মেম্বর মোঃ সুলতান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিদ্দিকের পক্ষ থেকে বিষয়টি ফয়সালার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

,
Powered by Blogger.