যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে নারীদের স্বল্প বসন পরতে মানা!
রাস্তাঘাট বা যানবাহনে চলাফেরার সময় যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে নারীদের
স্বল্প বসন বিশেষ করে মিনি স্কার্ট ও উত্তেজক প্যান্ট পরার ক্ষেত্রে সতর্ক
করে দিয়েছে বেইজিং পুলিশ।
বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, চীনে
গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বেইজিং পুলিশ নারীদের পোশাক পরিধানের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘চায়না ডেইলি’তে প্রকাশিত বেইজিং পুলিশ ও গণপরিবহন কর্তৃপক্ষের এই সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে নারীদের মিনি স্কার্ট ও উত্তেজক প্যান্ট পরা উচিত নয়। আর যদি তাঁরা যৌন হয়রানির শিকার হন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশকে জানানো উচিত।’ আরও বলা হয়, ‘মুঠোফোনে কেউ ছবি তুলে নেওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাসের উঁচু আসনে না বসে নারীদের নিচের ধাপের আসনে বসা উচিত। তা ছাড়া বাসের ভেতর নারীদের ব্যাগ, ম্যাগাজিন বা সংবাদপত্র দিয়ে শরীর অন্যদের থেকে আড়াল করে রাখা উচিত।’ এ ধরনের ঘটনা যে কেউ ঘটাক না কেন, ধরা পড়লে তাঁকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জিং উই বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নারীদের সচেতনতা বাড়াতেই এই সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তা বা বাসে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও যৌন হয়রানি করা হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া খুবই কঠিন একটি ব্যাপার। এ ছাড়া, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ট্রেন বা গণপরিবহনের কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের পক্ষে এগিয়ে আসাটাও খুব জটিল একটি ব্যাপার।’
চীনে বর্তমানে এসব ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও এ ধরনের ঘটনা ঘটালে আইন অনুযায়ী তত্ক্ষণাত্ দোষী ব্যক্তিকে জরিমানাসহ ১৫ দিন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ওয়াং জিয়ানশেং বলেন, বাসের ভেতর নারীদের রক্ষা করার জন্য কন্ডাক্টর নারীদের মনে করিয়ে দেবেন। অন্যথায় বাসে একটি নোটিশ বা কিছু নিয়মকানুন চালু রাখা যেতে পারে। এতে ভালো কাজ হবে।
নতুন এই বিধান সম্পর্কে জিয়ামিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও নারী-অধিকার বিশেষজ্ঞ জিয়াং ইয়ু বলেন, পুলিশের এই সতর্কবার্তা সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।
জিয়াং বলেন, ‘বাসে বা গণপরিবহনে সতর্কবার্তা লাগানো জরুরি, এটা সহজও। আর যাত্রীরা টাকার বিনিময়ে গণপরিবহনে ওঠে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা গণপরিবহন কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব।’
বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, চীনে
গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বেইজিং পুলিশ নারীদের পোশাক পরিধানের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘চায়না ডেইলি’তে প্রকাশিত বেইজিং পুলিশ ও গণপরিবহন কর্তৃপক্ষের এই সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে নারীদের মিনি স্কার্ট ও উত্তেজক প্যান্ট পরা উচিত নয়। আর যদি তাঁরা যৌন হয়রানির শিকার হন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশকে জানানো উচিত।’ আরও বলা হয়, ‘মুঠোফোনে কেউ ছবি তুলে নেওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাসের উঁচু আসনে না বসে নারীদের নিচের ধাপের আসনে বসা উচিত। তা ছাড়া বাসের ভেতর নারীদের ব্যাগ, ম্যাগাজিন বা সংবাদপত্র দিয়ে শরীর অন্যদের থেকে আড়াল করে রাখা উচিত।’ এ ধরনের ঘটনা যে কেউ ঘটাক না কেন, ধরা পড়লে তাঁকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জিং উই বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নারীদের সচেতনতা বাড়াতেই এই সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তা বা বাসে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও যৌন হয়রানি করা হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া খুবই কঠিন একটি ব্যাপার। এ ছাড়া, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ট্রেন বা গণপরিবহনের কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের পক্ষে এগিয়ে আসাটাও খুব জটিল একটি ব্যাপার।’
চীনে বর্তমানে এসব ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও এ ধরনের ঘটনা ঘটালে আইন অনুযায়ী তত্ক্ষণাত্ দোষী ব্যক্তিকে জরিমানাসহ ১৫ দিন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ওয়াং জিয়ানশেং বলেন, বাসের ভেতর নারীদের রক্ষা করার জন্য কন্ডাক্টর নারীদের মনে করিয়ে দেবেন। অন্যথায় বাসে একটি নোটিশ বা কিছু নিয়মকানুন চালু রাখা যেতে পারে। এতে ভালো কাজ হবে।
নতুন এই বিধান সম্পর্কে জিয়ামিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও নারী-অধিকার বিশেষজ্ঞ জিয়াং ইয়ু বলেন, পুলিশের এই সতর্কবার্তা সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।
জিয়াং বলেন, ‘বাসে বা গণপরিবহনে সতর্কবার্তা লাগানো জরুরি, এটা সহজও। আর যাত্রীরা টাকার বিনিময়ে গণপরিবহনে ওঠে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা গণপরিবহন কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব।’