বাঁশবনের অন্ধকারে গণধর্ষিতা কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ

উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদরের পর এবার নদিয়ার গেদে। ফের ধর্ষণ করে খুন। ঘটনার একদিন পর গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের আড়াল থেকে উদ্ধার হল কিশোরীর দেহ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরছিল ১৩ বছরের ওই কিশোরী। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সে আশ্রয় নেয় রেলওয়ে শেডের নীচে।

এই অবস্থায় তাকে দেখে এগিয়ে আসে স্থানীয় যুবক বিমল সর্দার। ছাতা হাতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। দুজনে এগোতে থাকে কিশোরীর বাড়ির দিকে। রাস্তায় তাদের কাছে আসে আরও দুই যুবক। তারা বিমলের পরিচিত। অভিযোগ,ওই দুজন জোর করে জঙ্গলের ভিতর টেনে নিয়ে যায় সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে।

সোমবার দিনভর তার সন্ধান মেলেনি। মঙ্গলবার এক কৃষক দম্পতি ঝোপের মধ্যে তার ধর্ষিত,ক্ষত বিক্ষত দেহ দেখতে পায়। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়।

তদন্তে নেমে ২২ বছরের বিমল সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু খোঁজ মেলেনি বাকি দুই অভিযুক্তের। তাদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি।

প্রতিবেশীদের দাবি,কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করছিল বিমল। এমনকী একবার তার গালে চটি দিয়ে মারেও সে। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই বিমল এই ষড়যন্ত্র করে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমাবার বিকেলে বিমল আর ওই কিশোরীকে একসঙ্গে ছাতার তলায় দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে।

পুলিশ মনে করছে,বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে প্রথমে কিশোরীর আস্থা অর্জন করে বিমল। তারপর পরিকল্পনা মতো দুই সঙ্গীর সঙ্গীর সঙ্গে মিলে টেনে নিয়ে যায় নির্জনে। সেখানেই চলে গণধর্ষণ এবং তারপর খুন। সদ্য বিবাহিত বিমলকে জেরা করে বাকি দুই সঙ্গীর সন্ধান করছে পুলিশ।

এদিকে নিহত কিশোরীর হতদরিদ্র পরিবারে এখন আরও ভারী হয়ে চেপে বসেছে শোকের পাথর। কিশোরীর বাবা মারা গিয়েছেন। মা মূক ও বধির, বুঝে উঠতে পারছে না পনেরো বছরের এই কিশোর।

, ,
Powered by Blogger.