আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে কেনাকাটার অনুমতি


আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা এখন থেকে দেশে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য ও সেবা কিনে দাম পরিশোধ করতে পারবেন।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে বিদেশে ভ্রমণের খরচ, হোটেল বুকিং ও অনলাইন পেমেন্ট ফিস দেয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৃহস্পতিবার এক পরিপত্রে জানিয়েছে, এখন থেকে বিদেশি নির্ভরযোগ্য উৎসের বৈধ পণ্য বা সেবা, যেমন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ই-বুক কিনে তার দামও অনলাইনে শোধ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারীরা।
তবে কোনো লেনদেন ১০০ মার্কিন ডলারের (বা সমপরিমাণ অন্য কোনো বিদেশি মুদ্রা) বেশি হতে পারবে না।
একজন গ্রাহক তার আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের অব্যবহৃত বার্ষিক ভ্রমণ কোটা ছাড়াও অতিরিক্ত বার্ষিক এক হাজার ডলার পর্যন্ত বিদেশ থেকে পণ্য বা সেবা কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের অথরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়ে দিয়েছে।
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সার্কভুক্ত কোনো দেশে ভ্রমণে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ দুই হাজার ডলার এবং সার্কের বাইরে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশে ক্রেডিট কার্ডে পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারেন।
এখন কেউ সার্কভুক্ত কোনো দেশ ঘুরে দেশে ফেরার পরও যদি তার হাতে উদ্বৃত্ত ক্রেডিট থাকে, তার সঙ্গে সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার যোগ করে তিনি অনলাইনে কেনাকাটা ও দাম পরিশোধ করতে পারবেন।   
একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে সার্কের বাইরের অন্য দেশের ক্ষেত্রেও। কার্ডধারী ব্যক্তি সেই পাঁচ হাজার ডলারের মধ্যে যা উদ্বৃত্ত থাকবে তার সঙ্গে আরো এক হাজার ডলারের কেনাকাটা করতে পারবেন।
তবে ক্রেডিট কার্ডধারীকে নিজ দায়িত্বে পণ্য বা সেবা কেনার লেনদেনের জন্য প্রযোজ্য কর অথবা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। অসাধু বিক্রেতার প্রতারণার ঝুঁকিও তাকেই বহন করতে হবে।

Powered by Blogger.