ঢাকা থেকে অপহৃত দুই বোনসহ আরও ছয় তরুণীকে উদ্ধার

ভারতের পুনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে অপহৃত দুই বোনসহ আরও ছয় তরুণীকে উদ্ধার করেছে। এদের সবাইকে সেখানে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে ইনডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, দেড় মাস আগে নারী পাচারকারীর একটি র‌্যাকেট ঢাকা থেকে ১৫ এবং ১৭ বছরের দুই বোনকে
অপহরণ করে পুনেতে ‘এজেন্টের’ কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বলে তাদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল। এ অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুনে পুলিশের সোশ্যাল সিকিউরিটি সেল ১৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। দুই বোনের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশী বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে। পুনে পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার নেতৃত্বে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছিল। অভিযানের সময় প্রিভেনশন অব ইমমোরাল ট্রাফিকিং অ্যাক্ট (পিআইটিএ)-এর আওতায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে পুলিশ প্রথমে একটি পতিতালয়ে তল্লাশি চালিয়ে চার বাংলাদেশী কিশোরীকে উদ্ধার এবং সেখানকার ম্যানেজার পিংকি নীলগোপালকে গ্রেপ্তার করে। এ পর্যায়ে তারা অপহৃত দুই বোনকে উদ্ধার করতে পারেনি। এরপর তারা একই এলাকার আরেকটি ভবনে অভিযান চালায়। সেখান থেকে পুলিশ এক কিশোরী এবং সেখানকার ম্যানেজার অনিতা রামবাহাদুর থাপাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু উদ্ধার করা এ কিশোরীও অপহৃত দুই বোনের একজন নয়। তাই পুলিশ আরেকটি ভবনে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই পুলিশ অপহৃত দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে একজন ছিল অপহৃত দু’বোনের মধ্যে ছোট বোন। সেখান থেকে পুলিশ শিব সুনীল বিচারে এবং তানিয়া সামিলব্যাপী নামের দুজন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তানিয়া জানায় অপহৃত বড়বোনকে বিলাস রামচন্দ্র কোসলে নামের আরেক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ সেই তথ্য অনুযায়ী বিলাসকে গ্রেপ্তার করে। সঙ্গে তার আর দুই সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিলাশ কোসলের ভবন নির্মাণের ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি সে পতিতাবৃত্তি পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ছয় ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।

,
Powered by Blogger.