‘ধর্ষিতার সন্তানের খরচ দিতে হবে সরকারকে’

মেয়েটি ধর্ষিতা। পরিবার ত্যাগ করেছে তাকে। এবার তাই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে গর্ভবতী এক ধর্ষিতা। ৮ মাসের গর্ভধারিণী ১৯ বছরের মেয়েটির আবেদন, তার চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তার দায়িত্ব নিতে সরকারকে নির্দেশ দিক আদালত। তার হবু সন্তানের ১৮ বছর
বয়স না হওয়া তার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে বলেও আর্জি জানিয়েছে ওই যুবতী। তার কথা শুনে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্র ও দিল্লি রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। মেয়েটির আইনজীবীরা বলেছেন, সামাজিক দুর্নামের ভয়ে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে বাড়ির লোকজন। তাছাড়া মেয়েটি খুবই গরিব ঘরের। চরম আর্থিক সঙ্কটে আছে। সন্তান প্রসবের খরচ দেওয়ার সাধ্যও নেই ওর। মেয়েটিও বলেছে, চিকিৎসার খরচ জোটাতে পারবে না পরিবার। সেটাও তাকে পরিত্যাগ করার নানা কারণের অন্যতম।
মেয়েটিকে তার এক প্রতিবেশীই গত অক্টোবরে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি কাউকে জানালে তার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় ধর্ষণকারী। ভয়-ভীতি কাটিয়ে মেয়েটি ৪ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তবে অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি।
আপাতত দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অসহায় ধর্ষিতা। নির্মম বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে প্রথমে সে গর্ভের সন্তানটিকে নষ্ট করে ফেলার অনুমতি চেয়েছিল আদালতের কাছে। তার আবেদনে বলা হয়েছিল, একদিকে বিয়ে না করে মা হওয়ার লজ্জায় তীব্র মানসিক যন্ত্রণা পাচ্ছে সে। তার সঙ্গে রয়েছে চরম অর্থাভাবের জ্বালা। ধর্ষণের জেরে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ার মধ্যে রয়েছে অপমানের গ্লানি। কিন্তু ডাক্তাররা তাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট না করার পরামর্শ দেয়। শেষে সিদ্ধান্ত বদলে সরকারের কাছেই সুবিচার চেয়ে আদালতে গিয়েছে সে। আদালত সরকারের বক্তব্য শোনার পরই রায় দেবে।

, ,
Powered by Blogger.