স্বপ্ন সুন্দরীর জন্যে ৩০ বছরের ঘর ভাঙলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

তবে কি অ্যালিনা কাবায়েভার স্বপ্নের পুরুষ ভ্লাদিমির পুতিন?
এমন প্রশ্ন ওঠার পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কাবায়েভা বলেছেন, তিনি তার স্বপ্নের পুরুষকে খুঁজে পেয়েছেন এবং তাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন।
মন্তব্যটি কাবায়েভার কাছ থেকে এমন সময় এলো যখন কি
না লুদমিলার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
এমনিতেই পুতিন দম্পতির সম্পর্কে ফাটল ধরার পেছনে কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের গোপন সম্পর্কের কানাঘুষা বহুদিন ধরেই চলছে।
তার উপর পুতিন ৩০ বছরের জীবনসঙ্গীনির সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দিতে না দিতেই কাবায়েভার স্বপ্নের পুরুষ খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা।
দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ফেলছেন অনেকেই।
অলিম্পিক গোল্ড মেডেল জয়ী এ জিমন্যাস্ট বর্তমানে পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির একজন এমপি। পাঁচ বছর আগে কানাঘুষা উঠেছিল যে পুতিনের রক্ষিতা কাবায়েভা।
২০০৮-এর জুনে মস্কোভস্কি করেসপন্ডেন্ট নামক এক দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল পুতিন লুদমিলাকে ডিভোর্স দিয়েছেন এবং কাবায়েভাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। সেবারই প্রথম কাবায়েভা কাব্যের জন্ম। সে সময় স্বভাবতই কাবায়েভা কোন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন।
তবে মস্কোতে তাদের নিয়ে নানা ধরনের গুজব উঠেছে নিয়মিতভাবেই। এমনকি এ ধরনের কথাও শোনা গেছে, পুতিন ও কাবায়েভার গোপন পরিবার রয়েছে। একটি দু’টি নয় তাদের তিন তিনটি সন্তান আছে বলেও কথা উঠেছে।
২০০৯-এর জুনে অপর একটি পত্রিকায় প্রকাশ হয় কাবায়েভা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পুতিন ও তার স্ত্রী লুদমিলার সম্পর্কে ফাটল ধরার পেছনে কাবায়েভার ভূমিকা নিয়ে যা যা গুজব প্রচলিত রয়েছে সেগুলোর পুরোটা না হলেও কিছু কিছু এখন সত্যি বলেই মনে করছেন অনেকে। পুতিনের মুখমাত্র এগুলো অস্বীকার করলেও অনেক রাশিয়ানের বিশ্বাস শিগগিরই পুতিনের পাশে দেখা যাবে কাবায়েভাকে, সামান্য কিছু সময়ের অপেক্ষামাত্র।
পুতিনের সঙ্গে বিয়ে হলে কাবায়েভা হবেন রাশিয়ার ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফার্স্টলেডি। ইদানীং টেলিভিশন সাক্ষাৎকারগুলোতে তিনি একবারের জন্যও পুতিনের নাম উচ্চারণ করেননি। আবার সরাসরি সম্পর্কের কথা ঠিক অস্বীকারও করেননি। বরঞ্চ মন ভোলানো হাসি দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তবে এটা স্পষ্ট করে বলেছেন তিনি তার স্বপ্নের পুরুষকে খুঁজে পেয়েছেন এবং তিনি বিয়ে করে তার সন্তানের মা হতে চান। একথা বলতে যেয়ে আনন্দে হাসির মাত্রাটাও বেড়ে যায় কাবায়েভার। চোখে মুখে খুশির ঝিলিক, দেখার মতো এক অভিব্যক্তি।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী অনেক কষ্টে জিজ্ঞেস করেই বসলেন, তার স্বপ্নের পুরুষটি আসলে কে?
আবারও মুখে হাসি ছড়িয়ে বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর, ‘একজন ভালো, অসাধারণ মানুষ যাকে আমি অনেক ভালোবাসি।’ কাবায়েভা যেভাবেই এড়িয়ে যান না কেন প্রশ্ন থেকেই যায়, স্বপ্নের পুরুষ যদি পুতিন নাই হবেন তাহলে নাম জানাতে অসুবিধাটা কোথায়? ঠিক কি বোঝাতে চাচ্ছেন আর কি বোঝা উচিত সেটা বুঝে ওঠাই দায় যেন!

,
Powered by Blogger.