চান মিয়ার লাশের ওপর বসে দু’ঘণ্টা সিনেমা দেখে খুনিরা
হোটেল ব্যবসায়ী চান মিয়ার লাশের ওপর বসে সিনেমা দেখে
খুনিরা। বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার আগে জুসের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে
খাইয়ে দেয়। এতে চান মিয়া অচেতন
হয়ে পড়লে তার মাথা ও শরীরের
ওপর বালিশ রাখা হয়। ওই বালিশে বসে দুই খুনি শফিক ও সেলিম হাই ভলিউমে সিনেমা দেখতে থাকে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর সিনেমা শেষ হলে তারা নিশ্চিত হয় চান মিয়া মারা গেছে। গত সোমবার দুই ঘাতক শফিক ও সেলিম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত ও গোয়েন্দা সূত্রমতে, গত ১৯শে জানুয়ারি রাজধানীর মগবাজারের হোটেল আল-আকসায় জমি ক্রয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে চান মিয়াকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইসমাইল ও কিলার সেলিম হায়দার ও নূরুজ্জামান ব্যাপারী ওরফে শফিককে শনাক্ত করে। এর মধ্যে ইসমাইল প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর তার বাম পা ও ডান হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। হামলায় মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে বলে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় বেঁচে আছে। এ কারণে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এই ঘটনায় ইসমাইলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে। আর সেলিম হায়দার ও শফিককে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা জানায়, আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচট এলাকার ইসমাইলের সঙ্গে চান মিয়ার সঙ্গে জমি ক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী (ব্রোকার) নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এতে ইসমাইল আশুলিয়ার কিলার সেলিমকে নিয়ে চান মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ কাজ করতে পারলে তাকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেলিম তার কিলার গ্রুপের আরেক সহযোগী নূরুজ্জামান ব্যাপারী ওরফে শফিক ওরফে মামুনকে ঘটনাটি জানায়। ১৯শে জানুয়ারি ইসমাইল ও সেলিম একজন জমির ক্রেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য চান মিয়াকে আশুলিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শফিক আগে থেকেই আল-আকসা হোটেল বুকিং করে রাখে। চান মিয়া হোটেলের রুমে আসলে নূরুজ্জামান ওরফে শফিক নিচে জুস আনতে যায়। চান মিয়াকে দেয়া জুসের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হয়। জুস খেয়ে চান মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর তারা টেলিভিশনের শব্দ বাড়িয়ে দেয়। চান মিয়ার মাথার ওপর বালিশ রেখে সেলিম বসে পড়ে। এ সময় টেলিভিশনে একটি বাংলা চ্যানেলে সিনেমা হচ্ছিল। সেলিম ও শফিক রুমে সিনেমা দেখলেও ইসমাইল সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনেমা শেষ হলে সেলিম চান মিয়ার মাথার ওপর থেকে উঠে নিশ্চিত হয় যে তিনি মারা গেছেন। তারা ওই কক্ষের বাথরুমের পানির ট্যাপের ৩টি মুখ ও ঝরনার মুখ নিয়ে কক্ষে তালা ঝুলে দিয়ে চলে যায়। পরে তারা চান মিয়ার মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রী ডলির কাছে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ডলি স্বামীর মুক্তিপণের জন্য কয়েক দফায় বি-ক্যাশ ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেয়। ঘটনার ৫ দিন তালাবদ্ধ থাকায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। পরবর্তী সময়ে হোটেল কর্মচারীরা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ হোটেল রুম থেকে চান মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম ও শফিক আরও জানায়, তারা ভাড়ায় খুন করে। মগবাজারের হোটেলে খুন করার পর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে এক ব্যক্তিকে ভাড়ায় খুন করেছে। ওই হোটেল থেকে চলে যাওয়ার সময় তারা বাথরুমের পানির ট্যাপের মুখ ও ঝরনার মুখ খুলে নিয়ে যায়। খুনের কাজ না পেলেও তারা আবাসিক হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়। মাত্র একদিন অবস্থান করে যাওয়ার সময় একই কায়দায় হোটেলের বাথরুমের জিনিসপত্র নিয়ে বিক্রি করে দেয়। কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নরসিংদীসহ অন্তত ১০ জেলার আবাসিক হোটেলে এ রকম অবস্থান করে চুরি করে পালিয়ে যায়।
হয়ে পড়লে তার মাথা ও শরীরের
ওপর বালিশ রাখা হয়। ওই বালিশে বসে দুই খুনি শফিক ও সেলিম হাই ভলিউমে সিনেমা দেখতে থাকে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর সিনেমা শেষ হলে তারা নিশ্চিত হয় চান মিয়া মারা গেছে। গত সোমবার দুই ঘাতক শফিক ও সেলিম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত ও গোয়েন্দা সূত্রমতে, গত ১৯শে জানুয়ারি রাজধানীর মগবাজারের হোটেল আল-আকসায় জমি ক্রয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে চান মিয়াকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইসমাইল ও কিলার সেলিম হায়দার ও নূরুজ্জামান ব্যাপারী ওরফে শফিককে শনাক্ত করে। এর মধ্যে ইসমাইল প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর তার বাম পা ও ডান হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। হামলায় মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে বলে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় বেঁচে আছে। এ কারণে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এই ঘটনায় ইসমাইলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে। আর সেলিম হায়দার ও শফিককে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা জানায়, আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচট এলাকার ইসমাইলের সঙ্গে চান মিয়ার সঙ্গে জমি ক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী (ব্রোকার) নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এতে ইসমাইল আশুলিয়ার কিলার সেলিমকে নিয়ে চান মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ কাজ করতে পারলে তাকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেলিম তার কিলার গ্রুপের আরেক সহযোগী নূরুজ্জামান ব্যাপারী ওরফে শফিক ওরফে মামুনকে ঘটনাটি জানায়। ১৯শে জানুয়ারি ইসমাইল ও সেলিম একজন জমির ক্রেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য চান মিয়াকে আশুলিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শফিক আগে থেকেই আল-আকসা হোটেল বুকিং করে রাখে। চান মিয়া হোটেলের রুমে আসলে নূরুজ্জামান ওরফে শফিক নিচে জুস আনতে যায়। চান মিয়াকে দেয়া জুসের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হয়। জুস খেয়ে চান মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর তারা টেলিভিশনের শব্দ বাড়িয়ে দেয়। চান মিয়ার মাথার ওপর বালিশ রেখে সেলিম বসে পড়ে। এ সময় টেলিভিশনে একটি বাংলা চ্যানেলে সিনেমা হচ্ছিল। সেলিম ও শফিক রুমে সিনেমা দেখলেও ইসমাইল সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনেমা শেষ হলে সেলিম চান মিয়ার মাথার ওপর থেকে উঠে নিশ্চিত হয় যে তিনি মারা গেছেন। তারা ওই কক্ষের বাথরুমের পানির ট্যাপের ৩টি মুখ ও ঝরনার মুখ নিয়ে কক্ষে তালা ঝুলে দিয়ে চলে যায়। পরে তারা চান মিয়ার মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রী ডলির কাছে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ডলি স্বামীর মুক্তিপণের জন্য কয়েক দফায় বি-ক্যাশ ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেয়। ঘটনার ৫ দিন তালাবদ্ধ থাকায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। পরবর্তী সময়ে হোটেল কর্মচারীরা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ হোটেল রুম থেকে চান মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম ও শফিক আরও জানায়, তারা ভাড়ায় খুন করে। মগবাজারের হোটেলে খুন করার পর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে এক ব্যক্তিকে ভাড়ায় খুন করেছে। ওই হোটেল থেকে চলে যাওয়ার সময় তারা বাথরুমের পানির ট্যাপের মুখ ও ঝরনার মুখ খুলে নিয়ে যায়। খুনের কাজ না পেলেও তারা আবাসিক হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়। মাত্র একদিন অবস্থান করে যাওয়ার সময় একই কায়দায় হোটেলের বাথরুমের জিনিসপত্র নিয়ে বিক্রি করে দেয়। কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নরসিংদীসহ অন্তত ১০ জেলার আবাসিক হোটেলে এ রকম অবস্থান করে চুরি করে পালিয়ে যায়।