চুয়াডাঙ্গা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর ইজ্জতের ক্ষতি পূরণ ২০ হাজার টাকা!


চুয়াডাঙ্গা হায়দারপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রামে মেম্বার সালিশ সভার নামে ধর্ষিতার ক্ষতি পূরণ হিসেবে ধর্ষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়
গ্রামের মন্ডল মাতব্বরদের নিয়ে মেম্বার শহিদুল লোকদেখানো এ সালিস করে ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিলেন। এলাকার সচেতন মহল সালিশ সভার মন্ডল মেম্বার শহিদুলসহ ধর্ষক মাসুসের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের ঘরজামাই দিনমজুরের কন্যা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী (৮) বুধবার সকালে গ্রামের ফায়ারমাঠের অদূরে ছাগল চরাতে যায়। সেখানে দিনমজুরের কন্যাকে একা পেয়ে গ্রামের প্রভাবশালী বাহার আলীর ছেলে মাসুম (১৪) তাকে মুখ চেপে ধরে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুকন্যাটি কানতে কানতে (কাঁদতে) বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি বলে দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষকের প্রভাবশালী পিতা বাহার আলীর লোকজন শিশুকন্যার নানিকেও মারধর করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে এই নিয়ে আর কোন কথা উঠলে বুঝতেই পারছো কি হবে। এই অবস্থার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে মেম্বার শহিদুল গ্রামে সালিস সভার নামে মুখচেনা কতিপয় লোক ডেকে ধর্ষক মাসুমকে ২০ হাজার টাকা জারমানা করে ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। সালিসে ধর্ষিত শিশু কন্যার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

,
Powered by Blogger.