আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিকাসহ শিক্ষা কর্মকর্তা আটকে গণধোলাই
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রেমিকাসহ আপত্তিকর
অবস্থায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে
গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার গভীর রাতে শিক্ষা অফিসের পার্শবর্তী একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও প্রতারণা করার অভিযোগে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আটককৃত শিক্ষা কর্মকর্তার স্ত্রী নাবিলা বেগম স্থানীয় ৪ সাংবাদিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই চার সাংবাদিক হচ্ছেন, যুগান্তর প্রতিনিধি জোবায়ের সিদ্দিকী স্বপন, ভোরের কাগজের আখতারুজ্জামান পাভেল, ভোরের ডাক এর রফিকুল ইসলাম ও দৈনিক জনতা’র মজিবর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার গভীর রাতে শিক্ষা কর্মকর্তা রাজ্জাক শিক্ষা অফিসের পার্শবর্তী একটি বাড়িতে মেয়েসহ ঢুকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা সেই বাড়িতে ঢুকে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে।
প্রতারিত ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক তাকে চাকরি দেয়া ও বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন হোটেলে ও বাড়িতে তাকে একাধিকবার ধর্ষন করেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ বলেছেন, সম্প্রতি নাগেশ্বরী উপজেলার ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী-কাম-প্রহরী পদের নিয়োগকে কেন্দ্র করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের ঘুষ বাণিজ্যের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তারই জের ধরে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা করিয়েছে। এ ঘটনায় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।