সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক মুরব্বি, তাই ক্ষমা!

রৌমারীতে (কুড়িগ্রাম) সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে কেতাব উদ্দিন নামের এক মুরব্বি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা গ্রাম্য সালিশ করে ওই মুরব্বিকে ক্ষমা প্রার্থনা করে শাস্তি দিয়েছেন। পাশাপাশি ধর্ষণ ঘটনার বিচার যেন কোথাও দিতে না পারেন এ জন্য ৪ দিন থেকে ওই নির্যাতিত পরিবারটিকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত খেতার চর গ্রামে। ওই গ্রামের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে রেখে সপরিবারে শ্বশুর বাড়িতে যান মেয়েটির পিতা। রাত ৩টার দিকে একই গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ কেতাব
উদ্দিন জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে নাবালিকা ওই মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালায়। মেয়েটি চিৎকার করলে পাশের বাড়ির মোন্নাফ আলী মনে করেন তাদের বাড়িতে হয়তো স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মেয়েটির চিৎকারে সন্দেহ হয় তার। ছুটে এসে দেখতে পান ততক্ষণে ধর্ষক পালিয়ে গেছে। অবুঝ ওই মেয়েটি এ ঘটনার পর থেকে সে স্কুলে যেতে পারছে না। ধর্ষকের আত্মীয় স্বজনরা সব সময় তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। একথা কাউকে বললে খতম করে ফেলবে তারা। মেয়ের বাবা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ধর্ষক গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় নানা ধরনের চাপের মুখে আছে তার পরিবার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। নির্যাতিত ওই পরিবারটি গরিব আর ধর্ষক বড়ই প্রভাবশালী। তাই থানা বা অন্য কোথাও ঘটনাটি জানাতে সাহস পায়নি। তিনি বলেন, তার স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। সালিশে প্রধান বিচারক আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশেম সরকার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি শুধু ঘরে ঢুকেছিল। তাছাড়া, লোকটি আমাদের মুরব্বি। তাই সবার নিকট তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। এ জন্য মামলার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবদু গণি বলেন, অভিযোগটি আমি শুনেছি তবে বিষয়টি নাকি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে।রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, তার নিকট এমন অভিযোগ কেউ করেনি। তাই তিনি জানেন না। তবে অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেবেন।

Powered by Blogger.