গভীর ঘুমে দেখা স্বপ্ন হুবুহু ভিডিও ধারণের কৌশল আবিষ্কার
অনেকটা অবাক করার মতো ঘটনা হলেও জাপানের একদল বিজ্ঞানী অদ্ভুত এবং
মজার এক সফলতার কথা জানিয়েছে।জাপানের কিয়োটোতে অবস্থিত এটিআর কম্পিউটেশনাল
নিউরোসাইন্স ল্যাবরেটরিস’র গবেষক দল নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে ‘ঘুমন্ত
মানুষ স্বপ্নের ঘোরে যা দেখেন, মস্তিষ্কে স্ক্যানিং’ এর মাধ্যমে হুবহু ধারণ
করার কৌশল আবিষ্কার করেছেন।
বিশ্বখ্যাত জার্নাল
নেচারের অনলাইন
সংস্করণ থেকে জানা গেছে ,তিনজন ঘুমন্ত মানুষের ওপর
ইলেক্ট্রো এনসেফ্যালোগ্রাফি(ইইজি) প্রয়োগ করে নিউরোইমেজিং এর মাধ্যমে
গবেষকরা সেই সময়কার মস্তিষ্কের আন্দোলনকে (স্বপ্ন) ধারণে সমর্থ হয়েছেন।
একজন ঘুমন্ত ব্যক্তির ৬/৭টি স্বপ্নের ঘটনা প্রতি ঘণ্টায় লিপিবদ্ধ করা
সম্ভব হয়। ওই গবেষক দল তাদের গবেষণায় এ রকম ২০০ স্বপ্নকে লিপিবদ্ধ করেন।গবেষক দলের প্রধান ইউকিআসু কামিতানি জানিয়েছেন,গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ স্বপ্নেই নিত্যদিনকার অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক ঘটনাও রয়েছে।গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ঘুমন্ত ব্যক্তিদের থেকে বের করা কি-ওয়ার্ড দিয়ে একটি মৌখিক প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং তা ২০টি ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত করেন। স্বপ্নের ইতিকথার সেসব প্রতিবেদনের বেশির ভাগেই মিলেছে নারী, পুরুষ, গাড়ি ও কম্পিউটারের অস্তিত্ব।
গবেষক কামিতানি ও তার
সহকর্মীরা মস্তিষ্কের বি১, বি২ এবং বি৩ অংশের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে এ
গবেষণার বিভিন্ন দিক উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়েছেন।তারা ২০০৮ সালে ঘুমন্ত
মানুষের স্বপ্নকে জানার ও ধারণের চেষ্টা শুরু করেছিলেন।এখন তারা স্বপ্নের
প্রকৃত পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।
কামিতানি বলেন, ‘‘আমরা এখন প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বহুলাংশেই স্বপ্নের প্রকৃত পূর্বাভাস দিতে পারি। ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এ তথ্য সঠিক হতে পারে।’’
কামিতানি বলেন, ‘‘আমরা এখন প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বহুলাংশেই স্বপ্নের প্রকৃত পূর্বাভাস দিতে পারি। ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এ তথ্য সঠিক হতে পারে।’’
কামিতানি ও তার সহকর্মীরা
এখন ঘুমন্ত অবস্থায় চোখের গতিবিধির তথ্যও সংগ্রহ করবেন। সংগ্রহ করবেন
স্বপ্নে বিভোর থাকার সময়ে চোখের অবস্থাও।ভবিষ্যতে অন্তত: ঘুমানোর এক ঘণ্টা
পূর্বের বিষয়ও যাতে ধারণ করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা চলছে ।