বয়স যত বাড়ে ততই সুখ বাড়ে নারীর!
অনেক সময় ছোট ছোট ঘটনা মানুষকে বেশ হতাশ
করে দেয়৷ জীবনের সব রং তখন ফিকে হয়ে আসে, ফুরিয়ে যায় জীবনের সঙ্ৃহা৷ কিন্তু
হতাশা কাদের বেশি গ্রাস করে_ নারী না পুরুষকে? এর উত্তর নিয়ে বিতর্ক বেশ
পুরনো৷ তবে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি
আশাবাদী হয়ে
থাকে৷ আর বয়স যত বাড়ে জীবনকে তারা তত বেশি উপভোগ করে৷ খবর
জিনিউজ অনলাইনের৷
ইউনিভার্সিটি
কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক ৫০ বছরের বেশি প্রায় ৯ হাজার ৮০০ নারী ও পুরুষের
ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, পুরুষকেই হতাশা বেশি গ্রাস করে৷ আর পুরুষের
তুলনায় নারী অনেক বেশি আশাবাদী হয়ে থাকে৷ বয়স বাড়লে জীবনকে উপভোগের মাত্রাও
নারীর মধ্যে বেড়ে যায়৷ তাই বৃদব্দ বয়সে নারীরা পুরুষের তুলনায় সুখী জীবন
যাপন করে৷ গবেষক দলের সদস্য ড. এলিজাবেথ ব্রিজ বলেন, বয়স বাড়লে শুধু নারীর
সুখের মাত্রাই বাড়ে না; নারী তখন নিশ্চিনস্নে সংসার ও সনস্নান দেখাশোনা
করতে থাকে৷ তিনি বলেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে জীবনকে দেখার দৃষদ্বিভঙ্গিগত
পাথর্ক্য রয়েছে৷ তার মতে, নারী যদি চাকরি না করে তাহলে তাদের মধ্যে হতাশা
কাজ করে৷ তবে ওই হতাশা আর থাকে না যদি তারা সনস্নান ও পরিবারকে দেখাশোনা
করার সুযোগ পায়৷
গবেষণায় আরো দেখা
গেছে, অর্থ-বিত্ত মানুষকে বেশি দিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করে৷ তাই যাদের
প্রচুর অর্থ-সমঙ্দ রয়েছে; দরিদ্রদের তুলনায় তারা বেশি দিন বাঁচেন৷ ৬০ থেকে
৭৪ বছর বয়সী দরিদ্র নারীর মৃতু্যর ঝুঁকি একই বয়সী ধনী নারীদের তুলনায় ৬ গুণ
বেশি৷ তাছাড়া কোনো ব্যক্তি বিয়ে করলে, শিক্ষিত হয়ে উঠলে এবং চাকরি বা
কাজের মধ্যে থাকলে তার আয়ু বেড়ে যায়৷ আর যারা বিবাহিত এবং স্ট্পীর সঙ্গে
বসবাস করেন তাদের তুলনায় অবিবাহিতদের মৃতু্যর ঝুঁকি দ্বিগুণ৷ নিয়মিত
শরীরচর্চা মানুষকে দীর্ঘায়ু করে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে উল্ক্নেখ করা হয়৷
এই গবেষণায় যাদের সাক্ষাত্কার নেওয়া হয় তাদের সবারই জন্ম ১৯৫২ সালের আগে৷ বিরতি দিয়ে দু’বছর ধরে তাদের ওই সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়৷