মডেল কন্যা সহ লিবীয় ৩ নাগরিকের ৬ দিন করে রিমান্ড
আটক করা বাংলাদেশি এক নারী মডেলসহ ৩ লিবিয় নাগরিককে ৬ দিন করে
রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবুল বাশার আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে
প্রত্যেকের
১০দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর
ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এরা হলেন,
লিবিয়ার নাগরিক সামির আহম্মেদ ওমর, আমরা মাহমুদ ও মোবারক সেলিম এবং
বাংলাদেশি মডেল প্রিয়াংকা জামান। রিমান্ড
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার তিন
লিবীয় নাগরিকের কাছে বাংলাদেশে বসবাসের কোনো বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।তাদের
কাছে কোনো পাসপোর্টও ছিলনা। তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা পাচারকারী চক্রের
সদস্য। মুদ্রা পাচারের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তাদেরকে
রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের এ অভিযোগ
অস্বীকার করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিরা বিদেশী
নাগরিক তাদের কাছে তো ডলারই থাকবে।
তারা লিবিয়ায় লোক নিতে বাংলাদেশে বৈধভাবে এসেছেন। তাদের
রিমান্ডে নেওয়া হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেল থেকে ওই তিন লিবীয়কে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
একই সঙ্গে আটক করা হয় বাংলাদেশি মডেল প্রিয়াংকাকেও। গ্রেফতার ব্যক্তিদের
কাছ থেকে ৬৮৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, এক লাখ ৮১ হাজার ৩০৪ মার্কিন ডলার, ৮
লিবীয় দিনার, ২ কাতারীয় রিয়াল, ৭টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, ২টি
বস্ন্যাকবেরি নোটপ্যাড, ২ বোতল ভদকা, মাস্টার কার্ড ২টি এবং ৭টি আইডি কার্ড
উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের নামে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ
আইনে গুলশান থানায় মামলা করা হয়।