“ইন্নোসেন্স অব মুসলিমস” কি আছে ছবিটিতে?ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাদের সাইট থেকে সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে

ছবিটি শুরু হওয়ার একটু পরেই মরুভূমির একটি দৃশ্য ফুটে ওঠে। একটি তাবুর সামনে এক নিগ্রো কিশোর বসা। তার হাতে গোস্তসহ একটি বড় হাড়। ছেলেটি দাঁত দিয়ে গোস্ত ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে। এসময় তাবুর মধ্যে থেকে এক যুবক বের হয়ে এলো। যুবকের মাথায় লম্বা চুল, মুখে ছোট করে ছাটা দাড়ি। চেহারার অবয়ব কিছুটা লম্বাটে। খ্রীষ্টানরা যীশু খ্রীষ্টের যে ছবি প্রচার  করে থাকে তার সাথে যুবকটির চেহারার খুব মিল রয়েছে। যুবকটি তাবু থেকে বের হতেই গোস্ত খেতে থাকা নিগ্রো কিশোরটি তাকে “মুহাম্মদ দ্য বাষ্টার্ড” এবং “মুহাম্মদ দ্য
ফাদার আন-নোন” বলে সম্বোধন করলো। ছবিটির বাকি চিত্রগুলো আরো জঘন্য। একস্থানে ছবির মূল চরিত্রটিকে দুজন মহিলা জুতোপেটা করছে, অন্যত্র এক শিশুকে যৌন নির্যাতন করছে। ছবির মূল চরিত্রটিকে একজন ক্ষমতালোভী, নির্বোধ, লম্পট আর নির্লজ্জ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে “ইন্নোসেন্স অব মুসলিমস” সিনেমাটিতে। ছবিটি দেখে ইওরোপ, আমেরিকার ইহুদি-খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের বহু মানুষ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে চরম অপমান করে নির্মিত সিনেমার ভিডিও ক্লিপ ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাদের সাইট থেকে সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কোন ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করা এবং মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউটিউব “ইন্নোসেন্স অব মুসলিমস” নামের জঘন্য সিনেমাটির ভিডিও চিত্র তাদের সাইট থেকে সরিয়ে না নিয়ে ধর্মীয় উত্তেজনা আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে পরোক্ষ সহযোগিতা করছে। তাই সবাইকে ইউটিউব বর্জন করার অনুরোধ রইল যে পর্যন্ত না ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাদের সাইট থেকে উক্ত ধর্মীয় উস্কানীমূলক ভিডিওগুলো সরিয়ে না ফেলে। জনমত তৈরীর লক্ষ্যে ফেসবুকে একটি পেজ চালু করা হয়েছে। ফেসবুক পেজটির ঠিকানা: http://www.facebook.com/Do.not.insult.islam

Powered by Blogger.