ছাত্রী নিবাসের বিছানায় প্রস্রাব করায় শাস্তিস্বরূপ ছাত্রীকে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলায় শাস্তিস্বরূপ সেই প্রস্রাব তাকে খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীনিবাসের ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত উমা পোদ্দারকে। কিন্তু সকলকে অবাক করে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযোগকারী ছাত্রীর বাবা মাকেও। আজ আদালতে তাদের তোলা হলে, বিচারক পুলিশের এই ভূমিকাকে তীব্র ভাষায়
সমালোচনা করেছে। আদালত জানিয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হালকা অভিযোগ দেওয়ায় তাকে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর পুলিশের এই পদক্ষেপে আদালত ছাড়াও সরব হয়েছে সমাজের অন্য অংশের মানুষও। পাশাপাশি, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যে ভূমিকা নিয়েছে, সেই ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বীরভূমের মকরন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, রাতে বিছানা ভেজানোর শাস্তিস্বরূপ তাকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়েছে। এই খবর ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছনো মাত্র উত্তেজিত আত্মীয় পরিজনরা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখান। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বোলপুর থানায় ছাত্রীর পরিবারসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার জেরেই ছাত্রীর বাবা মা’কে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। সেই ছাত্রী আরো জানিয়েছে, বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলার পরে ভিজে বিছানার উপর নুন ফেলে ওই ছাত্রীকে সেটা চাটতে বাধ্য করা হয়েছে। আর এই ঘটনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সেই ছাত্রী। আদালত জানিয়েছে, ছাত্রীর সমস্ত চিকিতসার খরচ ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারের বেতন থেকে কেটে নিতে হবে।

, ,
Powered by Blogger.