দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দুই বউয়ের
একই
বাড়ির
বড়
ও
মেজ
ভাইয়ের
বিরুদ্ধে বধূ
নির্যাতনের অভিযোগ
নিয়ে
পুলিশের দ্বারস্থ হলেন
তাঁদের
স্ত্রীরা। শুধু তাই
নয়,
বড়
ভাইয়ের
স্ত্রী
তাঁর
দেওরের
বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল ও
ধর্ষণের অভিযোগও এনেছেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত
সেই
দেওরের
স্ত্রীও তাঁর
স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ
দায়ের
করেছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি
ঘটেছে
কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানা
এলাকায়। অভিযোগ,
পণের
জন্য
বধূ
নির্যাতন, ভয়
দেখানো,
ধর্ষণ
ও
প্রতারণার। অভিযোগকারিণী দুই
গৃহবধূরই দাবি,
অভিযোগ
দায়ের
হওয়ার
পরও
নড়েচড়ে বসেনি
পুলিশ।
ঘটনার
সূত্রপাত ২০০৯
সালের
ফেব্রুয়ারি মাসে।
মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা একটি
পরিবারের বড়
ছেলের
সঙ্গে
বিয়ে
হয়
গার্ডেনরিচের বাসিন্দা ২০
বছরের
এক
তরুণীর। বিয়ের
কয়েকদিনের মধ্যেই
তরুণী
গৃহবধূ
জানতে
পারেন
যে
তাঁর
স্বামী
শারীরিকভাবে অক্ষম।
এ
কথা
জানাজানি হলে
শ্বশুরবাড়িতে লাগাতার অত্যাচারের শিকার
হন
ওই
গৃহবধূ। এখানেই
শেষ
নয়।
তাঁর
আরও
অভিযোগ,
সেনাবাহিনীতে কর্মরত
তাঁর
মেজ
দেওর
শ্বশুরবাড়িতেই দীর্ঘ
সময়
ধরে
তাঁকে
ধর্ষণ
করেন
এবং
অশালীন
ছবি
ইন্টারনেটে প্রকাশ
করে
দেওয়ার
নামে
ব্ল্যাকমেল করেন।
ঘটনাটি
আরও
জটিল
আকার
ধারণ
করে
২০১১
সালের
মে
মাসে
মেজ
দেওর
বিয়ে
করার
পর।
তাঁর
স্ত্রীরও অভিযোগ,
লক্ষাধিক টাকা
পণ
দিয়ে
বিয়ের
পর
থেকেই
শুরু
হয়
অত্যাচার। অভিযোগ,
প্রায়
দু'বছর সহ্য করার
পর
একদিন
তিনি
স্বামীকে বড়
জা-এর উপর নির্যাতন চালাতে
দেখেন।
প্রতিবাদ করায়
তাঁকে
নিগৃহীত হতে
হয়
বলে
অভিযোগ। দুই
গৃহবধূই থানায়
অভিযোগ
দায়ের
করেছেন। রুজু
হয়েছে
মামলাও। কিন্তু,
তাঁদের
অভিযোগ,
সক্রিয়
হয়নি
পুলিশ।
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী অভিষেক
মুখোপাধ্যায়ের দাবি,
এমন
অভিযোগ
নজরে
এলেই
তত্পর
হওয়া
উচিত
ছিল
পুলিশের। যুগ্ম
কমিশনার ক্রাইম
পল্লবকান্তি ঘোষ
জানিয়েছেন, গোটা
বিষয়টি
সম্পর্কে ডিসি
বন্দর
খোঁজ
নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই যথাযথ
ধারায়
মামলাও
রুজু
করা
হয়েছে।
মূল
অভিযুক্ত সম্পর্কে জানতে
সেনাবাহিনীকেও চিঠি
দেওয়া
হয়েছে।
দুই
তরুণী
গৃহবধূরই দাবি,
সুবিচার পেতে
তাঁরা
দু’জনে একসঙ্গে লড়াই
চালিয়ে
যাবেন।