রংপুরে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর ডাকাত বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা

পূর্বশত্রুতার জের ধরে এরশাদ আলী নামে এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি ভিন্ন খ্যাতে নিতে গণপিটুনির সময় ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করা হয়েছে বলে নিহত এরশাদের পরিবার দাবি করেছে।
শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়ার পাকুরিয়াশরীফ দীঘিপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, শনিবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে গঙ্গাচড়া নবীদাস এলাকার প্রতাপ চন্দ্র
রায় ও রানামিয়া মোটরসাইকেলযোগে বেতগাড়ি থেকে গঙ্গাচড়া আসার পথে পাকুরিয়া শরীফ দীঘিপাড় এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল রাস্তায় ব্যরিকেট দিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে তারা চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাত দল সটকে পড়ে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় বহু লোকের সমাগম হয়। সেখানে নিহত ওই স্কুল শিক্ষক এরশাদ আলীও উপস্থিত ছিলেন। রাতের আঁধারে তাকে ধাওয়া করে কিছু লোক। এরশাদ আলী সেখান থেকে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়া হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, স্কুল মাস্টার এরশাদ আলীর বাড়ি গঙ্গড়াচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামে। ওই উপজেলার মনিরামপুর স্কুল নিয়ে এরশাদ মাস্টারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাসারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই দ্বন্দ্বের কারণে নিহত এরশাদ আলী এর আগে একবার অপহরণ হন। এ ঘটনায় একটি মামলাও আছে।
পরবর্তী সময়ে বাশার মাস্টার এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা করেন। এসব ঘটনা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে এরশাদ মাস্টারকে হত্যার পেছনে পূর্বশত্রুতার জের আছে। পুরো বিষয়টি সাজানো হতে পারে।

Powered by Blogger.