কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতারক প্রেমিক কর্তূক বন্ধুসহ স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আশরাফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে
তিন বন্ধু মিলে তাকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। উপজেলার খলিসাকুন্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে পুলিশ ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। গতকাল রোববার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, উপজেলার খলিসাকুন্ডি মালিথাপাড়া এলাকার আজমল মালিথার ছেলে আশরাফুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর (১৫) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে।
পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতারক আশরাফুলের বন্ধু শ্যামপুর গ্রামের দিদার আলীর ছেলে বিশু তার মোটরসাইকেলে করে ওই স্কুলছাত্রী যুবতীকে নিয়ে আরেক বন্ধু খলিসাকুন্ডি দোকানপাড়ার খলিল ঠাকুরের ছেলে শরিফুল ইসলামের বাড়িতে ওঠে। শরিফুল ইসলামের বাড়িতে কেউ না থাকায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারক প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম ও তার দুই বন্ধু শরিফুল ইসলাম ও বিশু ওই যুবতীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এর পরের দিন শনিবার তিন ধর্ষক বন্ধু ওই স্কুলছাত্রী যুবতীকে কুষ্টিয়া জেলা সদরের অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেখানেও তার ওপর একইভাবে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া থেকে দৌলতপুরে ফিরিয়ে আনার পথে মিরপুর উপজেলার গো-হাটের কাছে তাকে ফেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধর্ষিত স্কুলছাত্রী কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা প্রতারক প্রেমিক আশরাফুল ইসলামকে আটক করে মিরপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার অপর দুই বন্ধু সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মিরপুর থানা পুলিশ অনুসন্ধান শেষে শনিবার রাতে তাদের দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পিতা আলম হোসেন বাদি হয়ে ওই রাতেই এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে প্রতারক আশরাফুলের দেয়া স্বীকারোক্তী অনুযায়ী পুলিশ তার আরেক বন্ধু ধর্ষক শরিফুল ইসলামকে খলিসাকুন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে অপর ধর্ষক বিশু পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি (প্রশাসন) জাহির হোসেন জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে গতকাল রোববার সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেক ধর্ষককেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

,
Powered by Blogger.