চলন্ত অটোরিক্সায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ, ক্যাম্পাস উত্তাল

সহপাঠীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভে পথে নেমেছে মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা৷
প্রতিদিন বিক্ষোভে সামিল  হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ৷ বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ এ ছাড়াও ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া,
গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলির সমর্থকরাও যোগ দিয়েছিলেন বিক্ষোভে৷ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারি এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে নিগ্রহে কড়া আইন আনার দাবিও জানান বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীরা৷ এই মর্মে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়৷ বেঙ্গালুরুতে সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পুলিশ৷
মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাক্তারির ছাত্রীটির ধর্ষণে জড়িতদের খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে দাবি করছে পুলিশ ৷ ধর্ষণের বেশ কিছু সূত্র এবং তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে জানিয়েছে পুলিশ ৷ উদুপির পুলিশ সুপার বোরালিঙ্গাইয়া জানিয়েছেন, ‘দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাটির নিষ্পত্তির জন্য পুলিশের আটটি দল গড়া হয়েছে৷’ কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে জে জর্জ রবিবার মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন উদুপির পুলিশ সুপার৷ যে জায়গায় ধর্ষণ করা হয়েছে, সেটির সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া অন্যদের জানা সম্ভব নয় ৷ তাই অভিযুক্তরা স্থানীয় বাসিন্দা বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ৷
বৃহস্পতিবার রাতে লাইব্রেরি থেকে হোস্টেলে ফেরার পথে অপহরণ করা হয় ২২ বছরের এমবিবিএস-এর ফাইনাল বর্ষের ওই ছাত্রীটিকে ৷ ক্যাম্পাসের বাইরে একটি অটোরিক্সায় চলন্ত তাঁকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে ৷ কেরালার তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পা ভেঙেছে৷ আঘাত রয়েছে হাত এবং ঘাড়েও ৷ তিনি এখনও মানসিক আঘাত পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে জানিয়েছেন চিকিত্‍সকেরা ৷
ওই দিন রাতে তাঁকে জোর করে অটোয় তোলার সময় দেখতে পান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র ৷ তিনিই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মীদের খবর দেন ৷ পরে অবশ্য রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন ওই ছাত্রী ৷ অভিযুক্ত অটোচালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ জেরা করা হচ্ছে, এলাকার প্রত্যেক অটোচালককে ৷

,
Powered by Blogger.