জোরপূর্বক পুরুষাঙ্গ কেটে নারী হরমোন দিয়ে যৌনকর্মীর কাজ চালানো হয়
তাকে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল
টিম পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানান,
কামাল তার স্ত্রী সন্তানের চিন্তায় বারবার কান্নাকাটি করছিলেন
। তিনি আবার আগের মতো হতে বারবার আকুতি জানাচ্ছেন চিকিত্সকদের কাছে।
ভারতে পাচারের আড়াই বছর পর কামাল হোসেন (২৫) নামের এক যুবক মিস নিহা হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। জোরপূর্বক লিঙ্গান্তর ঘটিয়ে তাকে দিয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি হোটেলে যৌন ব্যবসা চালানো হতো বলে জানিয়েছেন কামাল। লিঙ্গান্তরিত হওয়া কামাল গত ঈদুল আজহার দুইদিন আগে ভারত থেকে ফিরে আসার পর এখন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
কামাল হোসেন জানান, তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালরের একটি হোটেলে কাজ দেয়া হয়। সেখানে কাজ করার পর পাচারকারী খোদেজা বেগম খদু তাকে অজ্ঞাত একটি চক্রের কাছে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
তারাই হাসপাতালে তার লিঙ্গান্তর ঘটায়। কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, লিঙ্গান্তর ঘটানোর পর তাকে দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে যৌনকর্মীর কাজ করান হতো এবং নিহা নামে তাকে ডাকা হতো। এসব কথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি সুস্থ ও সবলভাবে ছেলে সফিকুল ইসলাম ও স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে বসবাস করার আকুতি জানান চিকিত্সকদের কাছে। এ সম্পর্কে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. এমদাদুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কামালকে জোর করে লিঙ্গান্তর ঘটনো হয়েছে স্রেফ যৌনকর্মীর কাজ করানোর জন্য। অপারেশনের আগে তার শরীরে হরমোন প্রবেশ করানো হয়। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন চক্রটি তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ কেটে ফেললেও তারা নারীর যৌনাঙ্গ তৈরি করতে পারেনি। তবে সিলিকন জাতীয় কিছু দিয়ে তার স্তন তৈরি করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কামালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে ডা. এমদাদ জানান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিত্সক ডা. শামিমা সুলতানা জানান, কামালের পুরুষাঙ্গ কেটে কেসটেশন ও টেসটিস (অণ্ডকোষ) কেটে অর্কেডটোমি করে পুরুষ হরমোন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি আর মেল হরমোন তৈরি করতে পারছেন না। এছাড়া বাইরে থেকে নারী হরমোন দিয়ে তাকে আর্টিফিসিয়ালি মেয়ে মানুষ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি জানান, কামাল আর পুরুষত্ব ফিরে পাবে না। তবে অপারেশন করে তার কৃত্রিম স্তন অপসারণ করা যাবে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের চার ছেলের মধ্যে কামাল ছিলেন তৃতীয়। ২০১০ সালে বাবার দারিদ্র্যের সুযোগে একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে খোদেজা বেগম খদু তাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে। পাচার হওয়ার সময় কামাল তার বাড়িতে স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও একমাত্র ছেলে সফিকুল ইসলামকে রেখে যান। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কামাল হোসেন এখন বিপাকে পড়েছেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কামালকে সঙ্গে নিয়ে আসা তার বাবা নূর মোহাম্মদ জানান, ২০১০ সালে কামালকে ফুঁসলিয়ে এলাকায় নারী ও শিশু পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত খোদেজা বেগম খদু নামের এক মহিলা তাকে ভারতে পাচার করে। তিনি আরও জানান, ভারতে পাচার হওয়ার পর তিনি বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন পাচারকারী খোদেজা বেগম খদুর বিরুদ্ধে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, কামালকে জোর করে লিঙ্গান্তরিত করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাচারকারী খোদেজা বেগম খদু ঘটনার পর থেকে পলাতক। স্ত্রী-সন্তান থাকা একজন যুবককে লিঙ্গান্তর ঘটানো অন্যায় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
। তিনি আবার আগের মতো হতে বারবার আকুতি জানাচ্ছেন চিকিত্সকদের কাছে।
ভারতে পাচারের আড়াই বছর পর কামাল হোসেন (২৫) নামের এক যুবক মিস নিহা হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। জোরপূর্বক লিঙ্গান্তর ঘটিয়ে তাকে দিয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি হোটেলে যৌন ব্যবসা চালানো হতো বলে জানিয়েছেন কামাল। লিঙ্গান্তরিত হওয়া কামাল গত ঈদুল আজহার দুইদিন আগে ভারত থেকে ফিরে আসার পর এখন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
কামাল হোসেন জানান, তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালরের একটি হোটেলে কাজ দেয়া হয়। সেখানে কাজ করার পর পাচারকারী খোদেজা বেগম খদু তাকে অজ্ঞাত একটি চক্রের কাছে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
তারাই হাসপাতালে তার লিঙ্গান্তর ঘটায়। কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, লিঙ্গান্তর ঘটানোর পর তাকে দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে যৌনকর্মীর কাজ করান হতো এবং নিহা নামে তাকে ডাকা হতো। এসব কথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি সুস্থ ও সবলভাবে ছেলে সফিকুল ইসলাম ও স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে বসবাস করার আকুতি জানান চিকিত্সকদের কাছে। এ সম্পর্কে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. এমদাদুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কামালকে জোর করে লিঙ্গান্তর ঘটনো হয়েছে স্রেফ যৌনকর্মীর কাজ করানোর জন্য। অপারেশনের আগে তার শরীরে হরমোন প্রবেশ করানো হয়। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন চক্রটি তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ কেটে ফেললেও তারা নারীর যৌনাঙ্গ তৈরি করতে পারেনি। তবে সিলিকন জাতীয় কিছু দিয়ে তার স্তন তৈরি করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কামালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে ডা. এমদাদ জানান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিত্সক ডা. শামিমা সুলতানা জানান, কামালের পুরুষাঙ্গ কেটে কেসটেশন ও টেসটিস (অণ্ডকোষ) কেটে অর্কেডটোমি করে পুরুষ হরমোন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি আর মেল হরমোন তৈরি করতে পারছেন না। এছাড়া বাইরে থেকে নারী হরমোন দিয়ে তাকে আর্টিফিসিয়ালি মেয়ে মানুষ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি জানান, কামাল আর পুরুষত্ব ফিরে পাবে না। তবে অপারেশন করে তার কৃত্রিম স্তন অপসারণ করা যাবে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের চার ছেলের মধ্যে কামাল ছিলেন তৃতীয়। ২০১০ সালে বাবার দারিদ্র্যের সুযোগে একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে খোদেজা বেগম খদু তাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে। পাচার হওয়ার সময় কামাল তার বাড়িতে স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও একমাত্র ছেলে সফিকুল ইসলামকে রেখে যান। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কামাল হোসেন এখন বিপাকে পড়েছেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কামালকে সঙ্গে নিয়ে আসা তার বাবা নূর মোহাম্মদ জানান, ২০১০ সালে কামালকে ফুঁসলিয়ে এলাকায় নারী ও শিশু পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত খোদেজা বেগম খদু নামের এক মহিলা তাকে ভারতে পাচার করে। তিনি আরও জানান, ভারতে পাচার হওয়ার পর তিনি বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন পাচারকারী খোদেজা বেগম খদুর বিরুদ্ধে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, কামালকে জোর করে লিঙ্গান্তরিত করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাচারকারী খোদেজা বেগম খদু ঘটনার পর থেকে পলাতক। স্ত্রী-সন্তান থাকা একজন যুবককে লিঙ্গান্তর ঘটানো অন্যায় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।