‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুর বুদুর চইলত ন’-সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে রবিবার বিকেলে বিএনপির সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু তার ১০ মিনিটের বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় স্পীকার কেউ বলছেন আমাদের
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি আগামি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন। আবার বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনাকে নাকি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান বানান হবে। আমি আমার ফেনির ভাষায় বলতে চাই, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুর বুদুর চইলত না, মাননীয় স্পিকার।’
তিনি বলেন ‘কি বলিব বাজেটের কথা, মনে আজ বড় ব্যাথা। মাননীয় অর্থমন্ত্রী মাল-মুহিদ যে বাজেট দিয়েছেন এটি সুন্দর ছলনাময়ী নারীর মত। সুন্দর-সুন্দর কথা, সুন্দর- সুন্দর প্রস্তাবনা কিন্তু সবই ছলনা। সবই ধোঁকাবাজি মাননীয় স্পিীকার।’ তিনি বলেন ‘এই ডিজিটাল মন্ত্রীদের সারা অঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দেব কোথা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকে নবেল পুরস্কার পাবার অপরাধে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরে যেতে হয়েছে। আজকে কোন সরকারকে যদি চুরি এবং দুর্নীতিতে নবেল পুরস্কার দেয়ার বিধান থাকত তাহলে এই সরকারের মন্ত্রীরা সেই নবেল পুরস্কারটি পেতেন।
এরপর রানু বলেন, ‘আগামি দিনের রাষ্ট্রনায়ক সুস্থ তারেক রহমানকে ফিরে পাবার অপেক্ষায় এদেশের মানুষ। আজকে তাকে নিয়ে কবিরা কবিতা লিখছেন, শিল্পীরা গাইছে গান। গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির লিখেছেন, তোমার চোখে এদেশের স্বপ্ন/ তোমার জীবন মানুষের জন্য/ তুমি এলে হবে নবান্য/ প্রতীক্ষার হবে শেষ তমাকে চায় বাংলাদেশ’।
রানু বলেন ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল আওয়ামী লীগের দাবি। তা আজ ৯০ ভাগ মানুষের দাবি।
আমাদের নেতা যখন এই কথাটি বলেছেন তখন এই সরকারের মন্ত্রীদের “ডাইরিয়া” শুরু হয়ে গেছে। এই সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রি ,পররাষ্ট্র মন্ত্রি আজকে ভয়ে আতঙ্কে পেট খারাপ করে ফেলছে।
তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে এটা হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক শয়তানি এবং আইন প্রতিমন্ত্রীর ডিজিটাল পাগলামি। আজকে “দুদক” আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন “দুদক লিগে” পরিণত হয়ে বিরোধীদল দমনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
আমি মন্ত্রীদের বলতে চাই তারেক রহমানের পিছনে সময় ব্যায় না করে আপনারা নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচানের জন্য প্রস্তুত হন’।
সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু বলেন ‘বর্তমানে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শত্রু বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী। লেডি হিটলারের তথ্যমন্ত্রী তিনি। আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা উনার চাপার মধ্যে থাকলেও বাস্তবে নেই। আজকে সাগর- রুনির হত্যার বিচারের বানি নীরবে-নিভৃতে কাঁদে। এই সেই তথ্যমন্ত্রী যিনি ৭৪ সালে শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামালকে বলেছিলেন ব্যাংক ডাকাত। তথ্যমন্ত্রী হবার আগে উনি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন কিনা আমি জানতে চাই মাননীয় স্পীকার’।
মাননীয় স্পীকার বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টরেট ডিগ্রিধারী, ওনার পি এইচ ডি’র বিষয় “খাল খনন।” মাননীয় স্পীকার, “ম” তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তুই-রাজাকার-তুই-রাজাকার এটা আমার কথা নয় এটা কাদের সিদ্দিকির কথা। “স” তে কাল বিড়াল তুই-বেটা-চোর-তুই-বেটা-চোর এটা আমার কথা নয় এটা সাংবাদিক এ বি এম মুসার কথা। এরপর রানু বলেন ‘মাননীয় স্পীকার আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, যারা আপনাকে গরম ডিম ঢুকিয়ে নির্যাতন করেছিল তাদের বিচার না করে আপনি কেন বিএনপির নিরীহ নেতাদের গন-রিমান্ডে নিচ্ছেন? ডাণ্ডা-বেড়ি পরাচ্ছেন? আপনি সরকারি চাকরি করতেন কি করে আপনি চার’শ কোটি টাকা’র ব্যাংকের মালিক হয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়’।
‘মাননীয় স্পীকার প্রতিবেশী ভারতের সাথে এই সাড়ে চার বছরে যতগুলো চুক্তি করা হয়েছে সবগুলো চুক্তি এই সংসদে প্রকাশ করার দাবী জানাচ্ছি। আমরা বন্ধুত্ব চাই, বন্ধুত্ব মানে এই নয় সবকিছু দিয়ে দেব কিছুই পাবনা! এটি বন্ধুত্ব নয় মাননীয় স্পীকার এটি দাসত্ব’। ‘মাননীয় স্পীকার আওয়ামী লীগ কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থকবে না। ইতিহাস সাক্ষী, অতীতে রক্ষী বাহিনী যেমন আপনাদের নেতাকে রক্ষা করতে পারে নাই বর্তমানেও কোন পুলিশ আপনাদের রক্ষা করতে পারবেনা।’

, ,
Powered by Blogger.