স্কুলছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের নামে ধর্ষণ

গাজীপুরের এক মেধাবী স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে নির্যাতন করার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগরিক সংহতি নামের একটি সংগঠন। আজ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ
সম্পাদক শরিফুজ্জামান বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে কথিত বিয়ের নামে তাকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ওই ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সাংবাদিকদের কাছে ওই ছাত্রী তার ওপর যে পাশবিক নির্যাতন হয়েছিল, তার বর্ণনা দিয়েছে।’
শরিফুজ্জামান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলেই বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিওগুলো) এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে। টাকা বা প্রকল্পের সম্পর্ক না থাকলে তারা কোনো প্রতিবাদ করে না।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ জানুয়ারি উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি থানায় একটি আলাদা সেল গঠন করতে হবে। কিন্তু সেটা আজও করা হয়নি। এ ছাড়া নানা আইনি জটিলতার কারণে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। মানববন্ধনে অপহরণ ও ধর্মান্তরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাতীয় কন্যা অ্যাডভোকেসি ফোরামের মুরশিকুল ইসলাম, ক্যাবের আলি হাজারী ও শায়লা আহমেদ, পরিবেশবিদ ইফমা হোসেন প্রমুখ।

, ,
Powered by Blogger.