পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জাপটে ধরে গর্ভবতী গৃহবধূ ও তার শাশুড়ীকে গণধর্ষণ: ইজ্জতের মূল্য দশ হাজার টাকা

নাটোরের সিংড়ায় রাতের আঁধারে বউ ও শাশুড়ীকে গণধর্ষণ করেছে পাষণ্ডরা। ৮ মাসের গর্ভবতী গৃহবধূর আকুতি মিনতি শোনেনি তারা। পাষণ্ডদের হাত থেকে
বাঁচার জন্য পবিত্রগ্রন্থ বুকে নিয়ে হাত জোড় করলেও নরপশুদের বুক একটুও কাঁপেনি। বরং পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জাপটে ধরে ওই গৃহবধূ ও তার শাশুড়ীকে ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ জুন রাত্রিতে উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৬ কিঃমিঃ অদূরে এক নিভৃত পল্লী সুকাশ ইউনিয়নের জিয়াপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় দিনমজুর ওই পরিবার স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইলে তারা মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার আশ্বাস দেন। গত বৃহস্পতিবার শালিসে বসার কথা থাকলেও প্রভাবশালীদের কলকাঠিতে শালিস হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের চাপে গত শনিবার ধর্ষিতার বাড়িতে শালিস বসে। শালিসে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড গঠন করা হয়। পরে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ষক ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ২১টি করে জুতা মারার রায় দেয়া হয়। এ রায় স্থানীয় জণগণের মনঃপুত না হওয়ায় তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীর গালিগালাজের মুখে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য শালিস ত্যাগ করে দ্রুত বেরিয়ে যান। সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষিতা বউ ও শাশুড়ী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।শালিশকারী ইউপি বলেন, এ ঘটনায় তারা আমার কাছে এসেছিলো, আমি উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে একত্রিত করেছিলাম। কিন্তু শালিসের রায় গ্রামবাসীরা মানেনি। বরং বোর্ডের সদস্যদের হেনস্থা করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, শালিস না মানায় আমরা মর্মাহত।

, ,
Powered by Blogger.