দেখে নিন নেহাকে, অঙ্কিতকে বিয়ে করছেন যে নেহা

দেখে নিন নেহাকে। ইনিই সেই মহিলা, যিনি অঙ্কিত চহ্বাণকে বিয়ে করছেন।
রাজস্থান রয়্যালসের ধৃত স্পিনার (যিনি বিয়ে করবেন বলে চূড়ান্ত নাটকীয় শুনানির পর আজ শর্তসাপেক্ষে জেল থেকে এক সপ্তাহের ছুটি পেলেন) ও তাঁর বাগদত্তার নামে
বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও গুগ্ল সার্চ করলে বারবার ফুটে উঠছে ওপরে তুলে দেওয়া শব্দবন্ধটুকুই। আসলে এটা হল কমবেশি একই বয়ানের ছাঁচে ঢালা একাধিক ইংরেজি প্রতিবেদনের শিরোনাম। যাতে কোথাও নেহার পদবি বলা নেই। নেই বিস্তারিত পরিচয়ও। তবে অঙ্কিতের কৌঁসুলি কিশোর গায়কোয়াড়ের আদালতের বয়ান অনুযায়ী, দু’জনের সম্পর্ক চার বছরের। ঠিক ছিল, বিয়ে হবে আইপিএল চুকলেই। সেই মতো ২ জুন বিয়ের তারিখ পাকা হয়েছিল। বাগ্দান হয়েছিল ২০১২-র ১ জুলাই, মুম্বইয়ে। রাজস্থান রয়্যালসের ফেসবুক ফ্যান পেজ থেকে পাওয়া সেই বাগ্দানের কয়েকটা ছবিই আজ প্রথম প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও ওই শিরোনাম সমেত ‘দেখে নিন নেহাকে…।’
স্পট ফিক্সিং নিয়ে তোলপাড়ের পর এক বারও প্রকাশ্যে আসেননি নেহা বা তাঁর পরিবারের কেউ। অঙ্কিতের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরেও তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অঙ্কিত বিয়ের জন্য জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছেন এই খবর উঠে আসার পর থেকে ক্রিকেট উৎসাহীদের কৌতূহলের অন্যতম বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিলেন তাঁর বান্ধবী (নাম জানা যায়নি তখনও)। গত ২৮ মে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অঙ্কিতের আইনজীবী বলেছিলেন, সব প্রস্তুতি শেষ। এখন বিয়ে আটকে গেলে দুই পরিবারেরই ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে। তাই অঙ্কিতকে অন্তত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট বলেছিলেন, অপরাধ এতটাই গুরুতর যে ভাবমূর্তির কথা ভেবেও জামিন দেওয়া যাবে না।
আরও একটা মহাগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সে দিন থেকেই অনেকে তুলেছিলেন জামিনের জন্য কেন ব্যস্ত অঙ্কিত? স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে জেলে যাওয়া পাত্রের সঙ্গে আদৌ কি বিয়েটা হবে? আজকের ঘটনাপ্রবাহ অবশ্য এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রাখেনি। বরং দিল্লির দায়রা আদালতে বিয়ের কার্ড, কেনাকাটা ও বুকিং সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেন নেহার ভাই। সরকারি কৌঁসুলি যদিও প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কার কথা বলে জামিনের বিরোধিতা করেন। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিনয়কুমার খন্না তখন জানতে চান, এফআইআর দায়ের হওয়ার অনেক আগে থেকেই যখন বিয়ে ঠিক হয়ে রয়েছে, তখন জামিন হবে না কেন? শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে বিচারক বলেন, “বিয়ে যখন ঠিক হয়ে রয়েছে, তখন তা হতে না দিলে অভিযুক্তের ভাবী স্ত্রী থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন সকলকেই ভুগতে হবে। যা হয়েছে, তাতে তো এঁদের কোনও দোষ নেই।” ৬ তারিখে আত্মসমর্পণের শর্তে এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া পান অঙ্কিত। পাসপোর্টও জমা রাখতে বলা হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, জেরার সময় অঙ্কিতকে দেখে চুপচাপ, শিশুসুলভ বলেই মনে হত তাঁদের। বরং অজিত চান্ডিলাকে মনে হয়েছে অনেক পাকাপোক্ত। আর শ্রীসন্তকে তাঁরা বলেছেন অস্থিরমতি, সারা ক্ষণই কিছু না কিছু করে মনোযোগ টানতে ব্যস্ত। বুকিদের কাছ থেকে শ্রীসন্ত যে টাকা নিয়েছিলেন, তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখ মুম্বইয়ের লোখান্ডওয়ালায় তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিষেক শুক্লর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অঙ্কিতের জামিনের শুনানিতে আজ বিচারক প্রশ্ন তোলেন, বোলার ১৩ রানের বেশি দিতে চাইছেন, ব্যাটসম্যান ঠিক তত রানই তুলছেন এটা কী ভাবে হয়? সরকারি কৌঁসুলি ও পুলিশের তরফে তখন বলা হয়, কোনও ব্যাটসম্যানের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে না।

,
Powered by Blogger.