রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্টে কামারুজ্জামানের নাম নেই

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ডকুমেন্ট কর্মকর্তা আমেনা বেগম আজ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি ড. আহমদ
শরীফ, কাজী নুরুজ্জামান ও শাহারিয়ার কবীর সম্পাদিত ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কেথায়’ বইয়ের বিভিন্ন অংশের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন। তবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই ডকুমেন্টর মধ্যে অভিযুক্ত কামারুজ্জামানের নাম কোথাও নেই। ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলামকে বলেন, এই ডকুমেন্ট দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? এসময় প্রসিকিউটরও স্বীকার করেন ডকুমেন্টে কামারুজ্জামানের নাম নেই।
সাক্ষী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মনোয়ারা বেগম তদন্তকালে এই বইটি জব্দ করেন। পরে কামারুজ্জামানের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী সাক্ষীকে জেরা করেন।
তিনটি ডকুমেন্ট নথিভুক্ত করার আবেদন : ‘৭১ সালের দুটি পত্রিকা কাটিংসহ তিনটি ডকুমেন্ট নথিভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। নথিপত্রগুলো ট্রাইব্যুনাল-আমলে নিবে কিনা সে বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম আবেদনটি দাখিল করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার আবেদনের উপর শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত দৈনিক বাংলা ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার দুইটি কাটিংসহ এনএসআই কর্তৃক ৭২ ও ৭৩ সালে সংগৃহীত বাংলাদেশ সরকারের কিছু ডকুমেন্ট ট্রাইব্যুনালের নথিভূক্ত করার আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত পত্রিকার কাটিং দুটির একটির শিরোনাম হচ্ছে- ‘দীন মোহাম্মদসহ আরো ১৫জন রাজাকার ধরা পড়েছে’।
গত ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রসিকিউশনের মোট ১৭জন সাী স্যা দিয়েছেন। গত ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

Powered by Blogger.