স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানী হানাদারদের সহযোগী ছিলেন : কাদের সিদ্দিকী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে পাকিস্তানী হানাদারের সহযোগী দাবি করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, মহিউদ্দিন খান আলমগীর মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন

অ্যাডভোকেট রায়হান মোর্শেদের সঞ্চালনায়  রোববার সকালে ‘কয়েকজন নাগরিক’ এর উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন’ এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী  বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। তিনি হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করেছেন কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন তাদের দেশের বন্ধু বলা যায় না। যারা পাকিস্তান সরকারকে সর্বশেষ দিন পর্যন্ত রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন তারাই আজ সরকারের রথী-মহারথী হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যথর্তা  সাহারা খাতুনের চেয়েও অনেক গুণ বেশি দাবি করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে রয়েছে পুলিশ-র‌্যাব সহ প্রশাসন । এধরনের ঘটনা তারা  সামাল দেবে কিন্তু ছাত্রলীগ-যুবলীগকে এভাবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার অধিকার তার নেই। আইনের বাইরে পুলিশকে যদি দলীয় গুন্ডা হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে দেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবেনা।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে সরকার দীর্ঘ সূত্রিতা করছে। সকলকে গ্রেফতার না করে মাত্র আট দশ জনকে গেফতার করে তাদের বিচার কার্য সম্পন্ন করার পায়তারা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরিয়া আইনে বিচারের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের শপথ ও সংবিধান লঙ্গন করেছেন। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত।
এই দেশ বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা বলেন, জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা সরকারের অপকৌশল হতে পারে। আর যদি একাজ জামায়াত-শিবির করে থাকে তাহলে অবশ্যই জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতি গণতান্ত্রিকভাবেই করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্পর্কে তিনি বলেন, যে মানুষটি সিপাহী আন্দোলনের সময় ট্যাঙ্কের ওপরে দাড়িয়ে আনন্দে নেচেছে, তাকে আজ তথ্যমন্ত্রী বানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তো দেশের মালিক নন। তিনি দেশের সেবক। তাই তিনি যা ইচ্ছা, তাই করতে পারেন না।

Powered by Blogger.