জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম পূরণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভোগান্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি ফরম পূরণ করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফরম ডাউনলোড করতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে আসন রয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার। শনিবার রাত পর্যন্ত ফরম
উত্তোলন করেছেন প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার। গত বছর প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। আজই শেষ হচ্ছে ফরম উত্তোলনের সময়সীমা। আগামী ৭ই ডিসেম্বর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে তারা ফরম পূরণ করতে পারছেন না। অথচ আবেদনের শেষ তারিখ  ২৫শে নভেম্বর। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর নীলক্ষেত, ফার্মগেট, মৌচাক, পান্থপথসহ বিভিন্ন জায়গায় কম্পিউটার কম্পোজ ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়া দোকানগুলোতে ভর্তি ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। অনলাইনে সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো কেউ ফরম পূরণ করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফরম গ্রহণ, বাছাই এবং ফল তৈরির কাজের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি নেই। এ কারণে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে এ কাজ করা হচ্ছে। আউট সোসিংয়ের কাজ দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগকে। আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানপ্রতি শিক্ষার্থী বাবদ ২১ টাকা ৮০ পয়সা নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ। গত বছর এ কাজ দেয়া হয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগকে। গত বছরও একই ধরনের সমস্যা হয়। বিভাগ ও কলেজ বণ্টনের ক্ষেত্রে ছেলেদেরকে মেয়েদের কলেজ, মেয়েদেরকে ছেলেদের কলেজে ভর্তির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে ফরম জমা দিয়েছেন। তার সময় লেগেছে প্রায় ৫ ঘণ্টা। দেলোয়ার হোসেন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফরম তোলার সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার কারণে অনেক চেষ্টা করলেও ফরম ডাউনলোড করা যায় না। জাতীয় কম্পিউটার পরিচালক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফরম গ্রহণ, বাছাই এবং ফলাফল তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, অনলাইনের সমস্যার বিষয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সময় বাড়ানোর বিষয় এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আরও একদিন সময় আছে। এখন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সমস্যার কথা কয়েক দিন আগে বলা হয়েছিল। এখন আর সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

Powered by Blogger.