স্কুলছাত্রীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষিকাকে গতকাল বুধবার বরখাস্ত করা হয়েছে


মিসরে ১২ বছর বয়সী দুই স্কুলছাত্রীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষিকাকে গতকাল বুধবার বরখাস্ত করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় লুকজর শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, ইসলামি অনুশাসন মেনে মাথায় স্কার্ফ না পরার
কারণে বুধবার ওই দুই স্কুলছাত্রীর চুল কেটে দেন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ইমান আবু বকর কিলানি। এ ঘটনায় দেশটির একটি শীর্ষ নারীবাদী সংগঠন নিন্দা জানিয়েছে। ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে।
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকা ইমান আবু বকর কিলানি ওই দুই ছাত্রীর চুল কাটার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর শ্রেণীকক্ষে ওই দুই ছাত্রীই কেবল স্কার্ফ পরত না। তিনি কৌতুক করে ওই দুই ছাত্রীকে বলেছিলেন, স্কার্ফ না পরলে তাদের চুল কেটে দেওয়া হবে। বুধবার এক ছেলে শিক্ষার্থী এ কথা স্মরণ করিয়ে তাঁর হাতে কাঁচি তুলে দেয়। এরপর ওই দুই ছাত্রীর চুলের সামান্য অংশ কেটে দেন তিনি।
নারী অধিকারকর্মীরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি একটি প্রতীকী ঘটনা। মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর মিসরের কট্টর মুসলমানরা তাদের মূল্যবোধ অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

Powered by Blogger.