ঋতুপর্ণার বিকিনি কাহিনী!

rituparna.jpg টালিউড কাম হালের বলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্র্ণা সেনগুপ্তা জানিয়েছেন, তিনি এখন বিকিনি পড়তে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এর আগে একবার তিনি বলেছিলেন, কখনও যদি পর্দায় তাকে বিকিনি পরিহিত অবস্থায় আসতে হয়, তাহলে কোমর থেকে দেহের নিচের অংশের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে হবে। খবর স্ক্রিন ইন্ডিয়ার।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, তিনি বলেন, টানা তিন সপ্তাহ নিয়মিত ফিটনেস সেন্টারে হাজিরা দেয়ার ফলে এখন তিনি বিকিনি পরার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এই গুরু সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে তাকে উৎসাহ দিয়েছেন ‘দোননো ইয়ে.. না জানে কিউ’ ছবিতে তার সহঅভিনেতা যুবরাজ পরাশর ও কপিল শর্মা।হায়দ্রাবাদ টাইমসকে দেয়া
এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা আরো বলেন, ‘দোননো ইয়ে.. না জানে কিউ’ ছবিতেই আমাকে দেখা যাবে বিকিনি পরিহিত অবস্থায়। এর আগে এতোটা শরীর দেখানোর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি। বিকিনি পরার কথা ভাবলেই পড়ে যেতাম অস্বস্তির ভেতর।
ঋতু আরো জানিয়েছেন, আমার ধারণা ছিলো, দৈহিক গড়নের কারণে বিকিনিতে মোটেও আকর্ষণীয় মনে হবে না আমাকে। তবে সবকিছুরই একটা শেষ আছে। নিয়মিত ফিটনেস সেন্টারে যাতায়াতের পর এখন আমি বিকিনির জন্য প্রস্তুত। যদিও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী এখনো হয়ে উঠিনি, তারপরও মনে হয়, যতোটুকু উন্নতি হয়েছে, তাতে বিকিনি পরে স্বচ্ছন্দেই পর্দায় হাজির হতে পারবো আমি।
এদিকে, সহঅভিনেতা যুবরাজের সাথে ঋতুপর্ণার সম্পর্ক নিয়েও কথা উঠেছে ছবিপাড়ায়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যুবরাজ অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ। আমাদের মধ্যে চমৎকার একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বয়সে আমরা দুজনই তরুণ। শুটিংয়ের সেটেও আমাদের সম্পর্কটা সবার নজরে পড়ার কথা। যতক্ষণ একসাথে থাকি, সবসময়ই আমরা সহজ-স্বাভাবিক কথা-বার্তা বলি। মাঝেমধ্যে ডিনার খেতে একসাথে বেরিয়ে পড়ি দূরের কোনো রেস্তোরাঁর উদ্দেশে।
উল্লেখ্য, সমপ্রতি শুটিং চলাকালে একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে সেট থেকে স্রেফ হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা এবং যুবরাজ। সব কাজ বন্ধ করে তিনঘন্টা ধরে চলে খোঁজাখুঁজি। ঘটনাটি নিয়ে ছবির পরিচালক সঞ্জয় শর্মাও দারুণ ক্ষুব্ধ হন ঋতুপর্ণার ওপর।
জানা গেছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অবিচলিত ঋতুপর্ণা নাকি বলেছেন, শুটিংয়ের ব্রেক দেয়ার পরই কেবল আমি একটা জরুরি কাজে কিছু সময়ের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। আমি সত্যিই জানিনা, তখন কোথায় ছিলো যুবরাজ। হয়তো সেও কোন জরুরি কাজে বাইরে গিয়েছিলো। এর ভেতরে আর অন্য কোনো রহস্য নেই। এটা নেহাতই একটি কাকতালীয় ঘটনা!

Powered by Blogger.